জেলার বানারীপাড়া উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের বিরুদ্ধে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ইউনিয়ন কমিটি গঠণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমনকি উপজেলার বিশারকান্দি ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি করার প্রলোভন দিয়ে মোঃ ইয়াসিন নামের এক সক্রিয় যুবদল নেতার কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটি সদস্য মোঃ ইয়াসিন জেলা দক্ষিণ যুবদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। মঙ্গলবার সকালে ওই অভিযোগে জানা গেছে, বানারীপাড়া উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক সুমন হাওলাদারের কথা বলে সদস্য সচিব মিজান ফকির বিশারকান্দি ইউনিয়ন যুবদলের কমিটিতে মোঃ ইয়াসিনকে সভাপতি করার প্রলোভন দিয়ে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেন। এমনকি বিভিন্ন সময় মিজান ফকির ও তার স্ত্রীর মোবাইলে বিকাশ ও নগদের মাধ্যমে আড়াই লাখ টাকা পেমেন্ট নিয়েছেন।
মোঃ ইয়াসিন অভিযোগ করে বলেন, তার কাছ থেকে টাকা নিয়েও তাকে কমিটির সভাপতি করা হয়নি। সেখানে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে অতিসম্প্রতি মোঃ আবুল কালামকে আহ্বায়ক ও ফিরোজ মাহমুদকে সদস্য সচিব করে ৪১ সদস্য বিশিষ্ট বিশারকান্দি ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষনা করেন উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব।
পদবঞ্চিত যুবদল নেতা মোঃ ইয়াসিন লিখিত অভিযোগে আরও উল্লেখ করেছেন, জন্ম লগ্ন থেকে তার পরিবার বিএনপির রাজনীতির সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত। এজন্য তাকে একাধিক মামলা ও হামলার শিকার হতে হয়েছে। এরপরেও তাকে ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতির পদ দেওয়ার জন্য টাকা নেয়া সত্বেও অন্য পক্ষের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ নিয়ে পকেট কমিটি ঘোষনা করা হয়েছে।
যুবদল নেতা মোঃ ইয়াসিন বলেন, আমাকে সভাপতির পদ দেওয়ার জন্য উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক সুমন হাওলাদারের কথা বলে সদস্য সচিব মিজান ফকির বিভিন্ন সময় বিকাশ ও নগদের মাধ্যমে যে টাকা নিয়েছেন তার প্রমানসহ স্টেটমেন্ট জেলা দক্ষিণ যুবদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে দায়ের করা অভিযোগের সাথে সংযুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।
পুরো অভিযোগ অস্বীকার করে বানারীপাড়া উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক সুমন হাওলাদার ও সদস্য সচিব মিজান ফকির বলেন, মূলত পদবঞ্চিতরা এসব মিথ্যে অপপ্রচার ছড়াচ্ছে। অভিযোগের কোন সত্যতা নেই।