জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উন্নত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন পূরণে সমাজের চেঞ্জমেকারদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন রংপুরের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মো. আবু জাফর।
তিনি বলেন, দেশের উন্নয়নের সাথে আমাদের জীবনমানের উন্নয়ন হচ্ছে। বর্তমানে সরকারি, বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার উদ্যোগে সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। জানো প্রকল্পটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার উদ্যোগে হলেও এটি সরকারের বিভিন্ন লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক ভূমিকা রাখছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে চেঞ্জমেকার হিসেবে সমাজে যারা নিজেদের অবস্থান তৈরি করতে পেরেছে এখন তাদেরকে বঙ্গবন্ধুর উন্নত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন পূরণে এগিয়ে আসতে হবে।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে রংপুর পর্যটন মোটেলে জয়েন্ট এ্যাকশন ফর নিউট্রিশন আউটকাম (জানো) প্রকল্পের বিভাগীয় সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. এ.বি.এম আবু হানিফের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন- রংপুর বিভাগীয় পরিবার পরিকল্পনা পরিচালক দেওয়ান মোর্শেদ কামাল, রংপুর বিভাগীয় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা পরিচালক প্রফেসর এস এম আবদুল মতিন লস্কর, উপ-পরিচালক (মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা) শফিকুল ইসলাম, উপ-পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. মো. জাহাঙ্গীর কবীর। প্রধান অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মো. আবু জাফর বলেন, জানো প্রকল্পের দীর্ঘমেয়াদি কার্যক্রমের সাফল্য অব্যাহত রাখতে এই প্রকল্পে অংশগ্রহণকারী ও সরকারি সংস্থাগুলোকে এই দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিতে হবে। কিশোর-কিশোরীদের সমাজের ইতিবাচক পরিবর্তনে অগ্রদূত হিসেবে কাজ করতে হবে। আরও বক্তব্য রাখেন-রংপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এনামুল হক, রংপুর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী পঙ্কজ কুমার সাহা, রংপুর জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এনায়েত হোসেন, নীলফামারী জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রংপুরের অতিরিক্ত উপপরিচালক আনোয়ার হোসেন প্রমুখ। অনুষ্ঠানের সভাপতি বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. এ.বি.এম আবু হানিফ তার বক্তব্যে জানো প্রকল্প থেকে পাওয়া লার্নিং বিষয়গুলোরংপুর ও নীলফামারীতে যেন অব্যাহত থাকে এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। এদিকে অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন প্রোগ্রাম প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের সেন্ট্রাল ও নর্দান রিজিওন হেড আশিক বিল্লাহ। এরপর জানো প্রকল্পের বাস্তবায়িত উল্লেখযোগ্য কার্যক্রম ও এই কার্যক্রমের প্রভাব সম্পর্কে উপস্থাপন করেন প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের জানো প্রকল্পের প্রজেক্ট ম্যানেজার পংকজ ময় ত্রিপুরা। পুরো অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের জেমস টেকনিক্যাল স্পেশালিস্ট শারমিন সুলতানা।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিদ্যালয় থেকে আগত শিক্ষার্থী, শিক্ষক, এসএমসি, সিএসজি, ইউডিসিসি, ইউএনসিসি প্রতিনিধি তাদের মাঠ পর্যায়ের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন এবং প্রকল্প শেষে করণীয় দিকগুলো নিয়ে আলোচনা করেন।
উল্লেখ্য, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অর্থায়নে এবং অস্ট্রিয়ান ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশনের অর্থায়নে জানো প্রকল্পটি কেয়ার বাংলাদেশ, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ ও ইকো সোশ্যাল ডেবেলপমেন্ট (ইএসডিও) এর একটি কনসর্টিয়াম প্রকল্প। প্রকল্পটি রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া, তারাগঞ্জ, কাউনিয়া এবং নীলফামারী জেলার জলঢাকা, ডোমার, কিশোরগঞ্জ ও সদর উপজেলার গর্ভবতী ও দুগ্ধদানকারী মা, পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু এবং কিশোর কিশোরীদের অপুষ্টি দূরীকরণের লক্ষ্যে কাজ করছে, যা সরকারের দ্বিতীয় জাতীয় পুষ্টি কর্ম পরিকল্পনা ২০১৬-২৫ অর্জনে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে।