সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে সোনাইডাঙ্গা বিলে ভূমিহীনদের আবাদকৃত ধান রক্ষা ও ভূমিহীনদের মিথ্যা মামলায় হয়রানি থেকে রক্ষার দাবি জানিয়েছেন ভূক্তভোগী স্থানীয় ভূমিহীনেরা।বুধবার বিকালে রায়গঞ্জ প্রেসক্লাব হলরুমে এক জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে গ্রামসেনাই ভূমিহীন সমিতির পক্ষ থেকে এই দাবি জানানো হয়। সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে গ্রামসোনাই ভূমিহীন সমিতির সভাপতি রহমত আলী বলেন, দীর্ঘ প্রায় দুই যুগ ধরে উপজেলার ধানগড়া ইউনিয়নের নলছিয়া মৌজার সোনাইডাঙ্গা বিলে জমিদার কৃষ্ণ কামিনী চৌধুরানী পরিত্যাক্ত ২৮ একর ৩৪ শতক ভূমির মধ্যে প্রায় সাড়ে ৮ একর সরকারি ১ নাম্বর খাস খতিয়ানের জমিতে ধান চাষ করে আসছেন ভূমিহীন সমিতির ৪০ টি পরিবার। গত ২২ এপ্রিল জোতদাররা ভূমিহীনদের আবাদকৃত ২৫ বিঘা জমির মধ্যে প্রায় ২ বিঘা জমির কাঁচা ধান জোর করে কেটে নিয়ে যায়। এ সময় বাধা দিলে জোতদারা ভূমিহীনদের উপর হামলা চালিয়ে নারী পুরুসসহ ৬জনকে গুরুতর আহত করে। উভয়পক্ষে পাল্টাপাল্টি মামলা হয়। জোতদারদের মামলায় পুলিশী তৎপরতায় ভূমিহীনরা বাড়ি ঘরে থাকতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেন। এ সময় উপস্থিত শতাধিক ভূমিহীন নারী পুরুষ কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। তারা তাদের জানমাল, আবাদকৃত ধান রক্ষা ও নিরাপত্তার দাবি জানান। তারা বলেন, শুরু থেকেই গ্রাম সোনাই গ্রামের জোতদার জাহের আলী সরকার গং ভূমিহীনদের উপর হামলা মিথ্যা মামলায় হয়রানী করে ভূমিহীনদের ঐ বিলের জমি থেকে উচ্ছেদের পায়তারা করছেন বলে অভিযোগ করা হয়। অভিযোগে আরো বলা হয়, জমিদার কৃষ্ণ কামিনী চৌধুরানী পরিত্যাক্ত ২৮ একর ৩৪ শতক ভূমির মধ্যে ১৮ একর ৯১ শতক জমি জোতদার তমছের আলী গং আর এস রের্কডের সময় আমীন কর্মচারিদের সাথে যোগ সাজশে ভলিয়ম বইয়ের পাতা টেম্পারিং করে ডুপ্লিকেট পাতা ভলিয়ম বইয়ে সংযুক্ত করে জাল রেকর্ড তৈরি করে। প্রকৃত অর্থে ২৮ একর ৩৪ শতক ভূমি খাস জলা। এব্যপারে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক বাদী হয়ে ঐ সম্পত্তি রক্ষায় জোতদার গোলাম হোসেন গং এর বিরুদ্ধে সিরাজগঞ্জ জজ আদালতে মামলা করেছেন। এরপরও নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন ৪০ টি ভূমিহীন পরিবারের দেড় শতাধিক নারী শিশু ও বৃদ্ধরা।