কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর, নিকলী, কুলিয়ারচরসহ আশে পাশের উপজেলার হাওরগুলোতে ইরি-বোরো ধান কাটা নিয়ে ব্যস্ত কৃষক ও কৃষানিরা। এই বছর এইসব হাওড়ে ইরি-বোরো ধানের চাষ করা হয়েছে কয়েক লক্ষ একর। গত বছরের তুলনায় এই বছর ফলন অনেক বেশি হয়েছে। বুধবার হাওড়ে ঘুরে দেখা গেছে, বিআর-২৯, বিআর-৯৪, বিআর- ১০৭, বিনা ধান একর প্রতি ৮০-১০০ মন ধর হওয়ায় কৃষকদের মুখে হাসি। বর্তমানে তারা কাঁচা ধান মন প্রতি ৯০০ টাকা থেকে ৯৮০ টাকা বিক্রি করছে হাওড়ে। এইসব কাঁচা ধান হাওড়ে গিয়ে বিভিন্ন পাইকাররা ধান কিনে নিচ্ছেন আগেবাগে। সরকার এখনও পর্যন্ত বিভিন্ন উপজেলার খাদ্য গোদামে সংরক্ষন করার জন্য সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে কেনার কোনো চুড়ান্ত উদ্যোগ নিচ্ছে না। কিন্তু কৃষকরা ধান নিয়ে হাওড়ে রাখতেও পারছেন না। কৃষকরা জানান, ইরি-বোরো ধান রোপনের সময় মধ্য স্বত্ব ভোগিদের নিকট থেকে চড়া সুদে টাকা নিয়ে জমি চাষ করতে হয়েছে। এখন এসব মধ্য স্বত্ব ভোগিদের ধান দিতে গিয়ে অর্ধেক গোলা হয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এইসব জমিতে পানি দিতে গিয়ে প্রতি একরে খরচ হয়েছে ৪ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা। ফাল্গুন ও চৈত্র মাসে বিদ্যুতের লো-ভল্টিজের কারণে এইসব জমির ধান অনেক মাইর খেয়েছে বলে কৃষক কোল মনে করছেন। অন্যদিকে, এইবছর প্রতি মূহূর্তে মূহূর্তে বৃষ্টি হওয়ার কারণে ধানের ফলন ভালো হচ্ছে। তবে যদি সরকার সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে কৃষি কার্ডের মাধ্যমে খাদ্য গোদামে ধান সংরক্ষন করে তাহলে মাঝারি সিন্ডিকেটগুলো ভেঙ্গে কৃষকরা যেমন উপকৃত হবেন তেমনি সরকারেও বাহির থেকে ধান না কিনলেও চলবে বলে অনেক কৃষক মনে করেন। এই বিষয়ে সরকারের উধর্তন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি ভেবে দেখবেন কী?