কচুয়ায় বিশ্ব মানবতার মুক্তির দূত মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এবং ইসলাম ধর্ম সর্ম্পকে কটুক্তিকারী নাস্তিক মুরাদ এর সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবিতে প্রতিবাদ সভা,মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৪ এপ্রিল(বুধবার) সকাল ৯টায় কচুয়া ডিগ্রি কলেজর সামনে বিশ্ব মানবতার মুক্তির দূত দোযাহানের বাদশা হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) ও সাহাবায়ে কেরাম এবং ইসলাম ধর্ম সর্ম্পকে ন্যাককার জনক মন্তব্যকারী নাস্তিক মুরাদ এর যামিন বাতিল করে দৃষ্ঠান্ত মূলক শা¯িস্তর দাবিতে প্রতিবাদ সভা,মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।সাংবাদিক কাজী সাঈদুজ্জামান ও মাওলানা ইব্রাহিম খলিলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন প্রতিবাদ সমাবেশের আহ্বায়ক ও কচুয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শিকদার হাদিউজ্জামান। সমাবেশে বক্তৃতা করেন কচুয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান,নায়েবে মোহতামিম কচুয়া কওমী মাদ্রাসার মাওলানা মঈনুল ইসলাম,টেংরাখালী আলীম মাদ্রাসার ভাইস প্রিন্সিপাল মাওলানা আবু বক্কর সিদ্দিক,কচুয়া বাজার জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মোঃ শাহ্ আলম, হাজরাবাড়ী জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মাসুম বিল্লাহ জাহানাবাদী, গোপালপুর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ জামে মসজিদের খতিব হাফেজ নুরুল ইসলাম,মাওঃ মোস্তফা বিন মাহবুব,মাওঃ তরিকুল ইসলাম, বাধাল বাজার জামে মসজিদের ইমাম মুফতি তানভীর হুসাইন,মোঃ জাহিদুল ইসলাম,মাওঃ শহিদুল্লাহ,মোঃ রাকিবুল ইসলাম,মোঃ মশিউর রহমান,আলহাজ্ব তুহিন খাঁন।এসময় উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন মসজিদের ইমাম,রাজনৈতিক, সাংবাদিক ও সুশিল সমাজের ব্যাক্তিবর্গ।
এদিন প্রতিবাদ সমাবেশে ৫টি দাবি ও কর্মসূচি ঘোষনা করেন কচুয়া উপজেলা ইমাম ওলামা পরিষদের সাধারন সম্পাদক মুফতি সরদার ইমরান হুসাইন। দাবিগুলো হলো :
(১)জামিন আদেশ প্রত্যাহার করে পুনারায় গ্রেপ্তার করতে হবে।(২)বাংলাদেশের প্রচালিত আইনে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার ব্যাপারে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যু দন্ডের বিধান রেখে "ব্রাসফেমি" আইন প্রনায়ণ করতে হবে।(৩)যতক্ষণ পর্যন্ত ওই বিষয়ের সু-স্পষ্ট এবং গ্রহন যোগ্য সমাধান না হবে তার সাথে সামাজিক সকল প্রকার সম্পর্ক বয়কট করতে হবে।(৪)অভিযুক্ত ব্যাক্তির ব্যাপারে কচুয়া বাজার কমিটির পক্ষ থেকে স্থায়ী বয়কট আদেশের নিশ্চয়তা প্রদান করেতে হবে।(৫)অবিলম্বে দাবি সমূহের বাস্তবায়ন না হলে লাগাতার শান্তিপূন্য কঠোর কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলে জানান।