বাগেরহাটের কচুয়ায় ৮ম শ্রেনী পর্যন্ত পড়ালেখা সমাপ্ত করার আগেই হুইল চেয়ার সঙ্গী হয়েছে মোঃ এমরান সরদারের। অসুস্থ মোঃ এমরান সরদার বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার দিনমজুর মোঃ ইউনুচ সরদারের ছেলে। সে অষ্টম শ্রেণিতে পড়াকালীন অবস্থায় বাড়ির কাছে খেলাধূলা করার সময় পরে গিয়ে মেরুদন্ডে আঘাত প্রাপ্ত হয়। এরপর থেকে বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা করালেও অর্থ কষ্ট আর দারিদ্র্যতার কারণে উন্নত চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ্য করে তোলা সম্ভব হয়ে ওঠেনি তার াসহায় পিতার।একি সাথে বন্ধ হয়েগেছে তার পড়ালেখা।
অসুস্থ অবস্থায় হুইল চেয়ারে বসেই তার বয়স এখন ২১ এর ঘরে পা রেখেছে কিন্তু তার স্বাভাবিক জীবন থেকে হারিয়ে গেছে ৮ টি বছর। যে পিতা তার সন্তানের জন্য ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখতো সেই পিতা আজ তার চিকিৎসা করাতে গিয়ে নিঃস্ব।৫ বছর আগে সরকারি ভাবে তার সন্তানের জন্য একটি প্রতিবন্ধী ভাতা হয়েছে কিন্তু মাসে যে ৮ শত টাকা ভাতা পান তা দিয়ে সন্তানের ঔসধের টাকাই যোগার করা হয় না।এমন পরিস্থিতিতে সন্তানের স্বাভাবিক জীবন ফিরে পাওয়া নিয়ে তৈরি হয়েছে সংকট।অর্থ কষ্ট আর দারিদ্র্যতা মাথাচারা দিয়ে উঠেছে, এমন পরিস্থিতিতে দেখা দিয়েছে হতাশা। একদিকে তার কাঁধের উপর অসুস্থ বড় সন্তান অন্যদিকে কলেজ পড়-য়া সন্তানের লেখাপড়ার খরচ সাথে ৫ বছরের শিশু সন্তান ও স্ত্রীর ভরন পোষন।এমন পরিস্থিতিতে বেঁচে থাকাই যেন তার কাছে বিলাসিতা।
প্রধানমন্ত্রী ও স্থানীয় সংসদ সদস্য বরাবর একাধিক বার আবেদন করলেও এখন পর্যন্ত কোন কাঙ্খিত সহায়তা পায়নি তার পরিবার। অসুস্থ সন্তান আর অর্থ কষ্ট নিয়ে তার পরিবার ও সন্তানের ভবিষ্যত আজ অনিশ্চিত।এমন পরিস্থিতিতে তার অসুস্থ সন্তানকে বিদেশে নিয়ে উন্নত চিকিৎসা না করালে সুস্থ করে তোলা অসম্ভব।তাই তার সন্তানের স্বাভাবিক জীবন ফিরে পেতে সরকারি বেসরকারি সহায়তা ও সমাজের বিত্তবান ব্যক্তিদের সাহায্য সহযোগিতা প্রয়োজন। তার দিনমজুর পিতা তার সন্তানের সুস্থ্যতার জন্য সমাজের বিত্তবান ব্যক্তিদের সহযোগিতা কামনা করছে।