যশোরের অভয়নগর উপজেলার ধোপাদী গ্রামে গলায় ফাঁস দিয়ে আসমা খাতুন (২৩) নামের এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে। গতকাল বুধবার সকালে উপজেলার ধোপাদী গ্রামের পুর্বপাড়া এলাকার রোস্তম মোল্যার বাড়িতে এ ঘটনাটি ঘটেছে। সে নওয়াপাড়া সরকারী মহাবিদ্যালয়ের একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী ছিলেন। এ ঘটনায় অভয়নগর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু করা হয়েছে। মামলা নম্বর ১৫।
জানা যায়, উপজেলার ধোপাদী গ্রামের রোস্তম মোল্যার ছোট ছেলে তুহিন মোল্যার সাথে ৬ বছর আগে আসমা খাতুনের বিয়ে হয়। আসমা খাতুন মনিরামপুর পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাবু শেখের মেয়ে। বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন সময়ে পারিবারিক কলহ সৃষ্ঠি হয়। মঙ্গলবার রাতে শশুর শাশুড়ীর সাথে আলাদা হওয়া নিয়ে স্বামী তুহিনের সাথে বাকবিতন্ডা হয়। সকালে আসমার স্বামী তুহিন ইজিবাইক চালাতে গেলে নিজ ঘরের সিলিং এর হুকের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। কিছুক্ষণ পরেই স্থানীয়রা উদ্ধার করে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সোহানা আজমীন উর্মী তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত আসমা খাতুনের মা অভিযোগ করে বলেন, আমার মেয়েকে শশুরবাড়ীর লোকজন সব সময় অত্যাচার করতো। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, মৃত্যুর কিছুক্ষণ আগেও আমার সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলে আসমা খাতুন। অভিযোগ অস্বিকার করে আসমা খাতুনের শশুর রোস্তম মোল্যা বলেন, ঘটনার সময় আমি ও আমার ছেলেরা কেউ বাড়িতে ছিলামনা। আসমা বেগমের স্বামী তুহিন মোল্যার মুঠোফোনে কল করা হলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এব্যপারে অভয়নগর থানার অফিসার্স ইনচার্জ(ওসি) এস এম আকিকুল ইসলাম বলেন, আসমা খাতুন নামের একজন গৃহবধু আত্মহত্যা করেছে। সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এটা আত্মহত্যা না কি হত্যাকান্ড ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে বলা যাবে।