মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান রিপোটার্স ইউনিটির সভাপতি নাছির উদ্দীন ও সাধারণ সম্পাদক হামিদুল ইসলাম লিংকনের স্বেচ্ছাচারীতা ও অনিয়মের অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন একই সংগঠনের কার্যকরী কমিটির ৬ সদস্যসহ ১১ জন সদস্য। তারা সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি থেকে অব্যাহতি নেন এবং এই সংগঠনের সাথে না থাকার ঘোষণা করেন। বুধবার দুপুরে সিরাজদিখান প্রেসক্লাব হলরুমে সংবাদ সম্মেলনে সিরাজদিখান রিপোটার্স ইউনিটির সহ সভাপতি জাবেদুর রহমান যোবায়ের তার বক্তব্যে বলেন, একজন সংবাদকর্মী হিসেবে সংবাদ সম্মেলন করতে হবে এটা কখনো আশা করিনি। কমিটি গঠনের পর থেকে সভাপতি নাছির উদ্দীন ও সাধারণ সম্পাদক হামিদুল ইসলাম লিংকনের নেতৃত্বে আমরা সংগঠনকে সুসংঘটিত করতে বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নেই।
বর্তমানে গুছানো সংগঠনকে স্বেচ্ছাচারিতায় ও অনিয়মের রাজ্যে পরিনত করেছে সংগঠনটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কর্মকান্ডের কথা অতি দুঃখের সাথে বলতে হয়,তাদের প্রতিটা কর্মকা- গঠণতন্ত্র বহির্ভূত। তাদের এহেন কর্মকা- আমাদেরকে মর্মাহত করেছে। তাদের নানা একক সিদ্ধান্ত সংগঠনের ভিতরে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। কার্যকরী কমিটি থাকা সত্ত্বেও কোন ধরনের আলোচনা ছাড়াই সংগঠনের নিয়মবহির্ভূত নতুন নতুন সদস্য নিয়োগ দিচ্ছেন যারা কোন সংবাদকর্মী না। তারা দুজন আলোচনা ছাড়াই সংগঠনের নামে বিভিন্ন অনুষ্ঠান করে। সংগঠনের বিষয়ে কোন ধরনের জবাবদিহিতা নাই, চাইতে গেলে সংগঠন থেকে চলে যেতে বা অব্যাহতি নিতে বলেন। এও বলেন আমরা এভাবেই সংগঠন চালাবো কারো পছন্দ হলে থাকো না হলে চলে যাও। ইতোমধ্যে ঈদ পুনর্মিলনী ও বৈশাখ উদযাপন করা হয়। সে অনুষ্ঠানে সভাপতি তার বক্তব্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রসঙ্গে বলেছেন, তারা দুজন
ছাড়া উপজেলার সকল সাংবাদিক মাটির বিরুদ্ধে নির্বাচন করেছে। তার শিষ্টাচার বহির্ভূত এমন বক্তব্যে আমরাসহ এ উপজেলায় কর্মরত সকল সাংবাদিকের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে। সংগঠনের বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজনের আগে ও পরে আয়ের উৎস কি বা ব্যায় কি,তা প্রকাশ করে না। এ ছাড়া রিপোর্টার্স ইউনিটির সাংবাদিকরা উপজেলায় অন্যান্য কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে সখ্যতা বা সুসম্পর্ক বজায় রাখতে নিষেধ করেন তারা দুজন।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সাংগঠনিক সম্পাদক আজাদ বিন আজম নাদভী তার বক্তব্যে বলেন, ইউনিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক তারাও সিরাজদিখান প্রেসক্লাবের সদস্য। তারা বিভিন্ন দপ্তরে গিয়ে প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করেন। মূলত ইউনিটির সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের একান্ত সিদ্ধান্তেই রিপোর্টার্স ইউনিটির সকল কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। যা মেনে নেওয়া যায় না। এ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সিরাজদিখান রিপোর্টার্স ইউনিটি থেকে আমরা সম্পাদকীয় ৬ জনসহ মোট ১১ জন সদস্য স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নিলাম এবং রিপোর্টার্স ইউনিটি কে বয়কট করলাম।আজকের পর থেকে রিপোর্টার্স ইউনিটির সাথে আমাদের কোন সম্পর্ক নাই। সিরাজদিখান রিপোর্টার ইউনিটির সভাপতি নাছির উদ্দীন ও সাধারণ সম্পাদক হামিদুল ইসলাম লিংকনের নানা অনিয়মের চিত্র তুলে ধরে বক্তব্য দেন রিপোর্টার ইউনিটির প্রচার ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আমির হোসেন ঢালী ও দপ্তর সম্পাদক আনিসুর রহমান নিলয়।
সিরাজদিখান প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠানে সিরাজদিখান প্রেসক্লাবের সভাপতি, সহ সভাপতি সাধারণ সম্পাদক ও অন্যান্য সদস্যসহ উপজেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।