সারা দেশের ন্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলেও গত ১০-১২ দিন ধরে চলছে তীব্র তাপদাহ। জন জীবন বিপর্যস্ত হওয়ার সাথে পশু পাখি হাঁস মোরগের জীবনও বিপন্ন হওয়ার পথে। ফল ফসল ধ্বংস হতে চলেছে। ইতোমধ্যে হিট স্ট্রোকে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। প্রকৃতির এই ভয়াবহ বিরূপ আচরণ থেকে রক্ষা পেতে রহমতের বৃষ্টির আশায় গতকাল সকাল ৮ টায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে সরাইল সদরের কুট্রাপাড়া শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে সহস্রাধিক মানুষ ইসতেসকার নামাজ আদায় করেছেন।
কুট্রাপাড়া আনসারিয়া ঈদগাহ মাঠের পরিচালনা কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত ওই নামাজে ইমামতি করেছেন সরাইল বিকাল বাজার শাহী জামে মসজিদের (হাটখোলা) খতিব মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আল হুদা। এর আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে ঈদগাহ মাঠ ও বিকাল বাজার শাহী জামে মসজিদ কমিটির সম্পাদক মাওলানা কুতুব উদ্দিন, মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা শেখ মো. আমান উল্লাহ ও মাওলানা জুবায়ের আহমেদ বলেন, জমিন যখন পাপের ভার সইতে পারে না। আমাদের অন্যায় অনাচার পাপাঁচার যখন সীমা অতিক্রম করে ফেলে। তখনই আল্লাহ তার রহমত থেকে আমাদেরকে বঞ্চিত করেন। আযাব গজব দিয়ে আমাদেরকে শাস্তি দেন। ফলে প্রকৃতি বিভিন্ন ভাবে আমাদের সাথে বৈরী আচরণ করে থাকে। গত ১০-১২ দিন ধরে তীব্র তাপদাহে আমরা পুঁড়ছি জ্বলছি। দিন রাত যাচ্ছে সীমাহীন কষ্টে। হাসপাতাল গুলোতে রোগী আর রোগী। আমের মুকুল, পুকুরের মাছ, জমির ফুল ফসল সবকিছু ধংস হয়ে যাচ্ছে। এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার আশায় আজ আমরা রাসুল (সা.) দেখানো পথ অনুসরণ করছি। তাই সকলে মিলে এসতেসকার নামাজ আদায় করব। সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে কাঠফাটা রোদে দাঁড়িয়ে সহস্রাধিক লোক ২ রাকাত এসতেসকার নামাজ আদায় করেন। নামাজ শেষে মোনাজাতে চিৎকার করে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন সকল মুসল্লি। যাবতীয় পাপ ও কৃত অপরাধের জন্য আল্লাহর কাছে তওবা করে ক্ষমা চেয়ে স্বস্থি আর রহমতের বৃষ্টির আর্জি রাখেন। যুবক শিশু বৃদ্ধ সকলেই আল্লাহ আল্লাহ শব্দে চোখের জল ভাসিয়ে তীব্র তাপদাহ থেকে মুক্তি চান। সমগ্র মাঠে এক হৃদয় বিদায়ক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। ফিলিস্তিনের নির্যাতিত সকল মুসলমান নারী পুরূষ ও শিশুদের উপর আল্লাহর খাস রহমত প্রার্থনা করেন। অতিবন্যা, জলোচ্ছাস, অতিবৃষ্টি, খরা, ভূমিকম্পের মত গজবে ফেলে কষ্ট না দিতে আল্লাহকে কুরূজোরে অনুরোধ করেন।