লালমনিরহাটের পাটগ্রামে একটি পাগলা কুকুরের কামড়ে একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিসহ মোট ১০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে বাউড়া ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. আনারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে শনিবার উপজেলার বাউড়া ইউনিয়নের নবীনগর এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডে সারাদিন এ ঘটনা ঘটে বলে নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্যবৃন্দ। বাউড়া ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. আনারুল ইসলাম জানান, শারীরিক প্রতিবন্ধী ওই ব্যক্তির নাম নুর ইসলাম (৫০) সে তার ওয়ার্ডের বাসিন্দা। নুর ইসলাম ছাড়াও ওই ওয়ার্ডের স্বাস্থকর্মী শিউলি, ৭ নং ওয়ার্ডের সাফিয়া বেগমসহ বিভিন্ন এলাকার ৮ থেকে ১০ জন ওই কুকুরের কামড়ে আহত হয়েছেন। ইউপি সদস্য আরও বলেন, ‘রাস্তার কুকুর কাউকে কামড়ালে করণীয় কি সে বিষয়ে আমাদের জন্য কোন দিকনির্দেশনা দেয়া হয় নাই। তিনি রোববার তার ব্যক্তিগত কাজে লালমনিরহাট জেলা শহরে আসায় প্রতিবন্ধী ছেলেটার খোঁজ নিতে পারেননি। টাকা দিয়ে ভ্যাকসিন কিনবে এমন সামর্থ্য তার নেই। আমি পাটগ্রামে গিয়ে তাকে ভ্যাকসিন দেয়ার ব্যবস্থা করবো। আমরা পাটগ্রাম পৌরসভায় ভ্যাকসিন এর জন্য গেলে তারা লালমনিরহাট যেতে বলে। আর লালমনিরহাট প্রায় ১০০ কিমি যাতায়াতে করতে অনেক খরচ। তাই গরিব ও দিনমজুর মানুষগুলো কিভাবে চিকিৎসা চালাবে তার একটা ব্যবস্থা থাকা দরকারথ। ৭ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. আবদুল মতিন বলেন, ‘আমার ওয়ার্ডে প্রায় ৪ থেকে ৫ জনকে ওই কুকুরটি কামরিয়েছে। তাদে মধ্যে নাহিদ হাসান নামে এক স্কুল ছাত্র গুরুতর গুরুতর আহত হয়। তার বাসায় বেড়াতে আসা তাদের এক আত্মীয় সালমা নামে একজমকে ওই কুকুরের কামড়ে জখম হয়েছেন। বর্তমানে স্কুল নাহিদ পাটগ্রাম থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধিন আছেন। আহত স্কুল ছাত্র নাহিদ জানান, হঠাৎ কুকুরটি তার সামনে আসে। এ সময় কুকুরের হাবভাব দেখে সে ভয় পেয়ে দৌড় দেয়। সাথে সাথে কুকুরটিও তার পিছু নিয়ে তাকে আক্রমণ করে। পরে হাসপাতালে নিলে ডাক্তার তাকে ভ্যাকসিন দেয় ও ক্ষতস্থানে ব্যান্ডেজ লাগায়। সে চিকিৎসা নিতে গিয়ে দেখেন কুকুরের কামড়ে সেখানে নিপা নামের একটি মেয়েও চিকিৎসা নিতে এসেছে। এ বিষয়ে মুঠোফোনে বাউড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: রাবিউল হক এর বেশ কয়েক বার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।