প্রিমিয়ার লিগে টিকে থাকতে হলে জয়ের বিকল্প ছিল না। সম্ভাব্য রোমাঞ্চের উপকরণ ছিল মজুদ। কিন্তু লড়াই সেভাবে জমল না। গাজী টায়ার্স ক্রিকেট একাডেমির ব্যাটসম্যানরা যে দাঁড়াতেই পারলেন না। তাদের অল্প রানে আটকে রাখার পর রূপগঞ্জ টাইগার্স ক্রিকেট ক্লাবকে সহজ জয়ের পথে এগিয়ে নিলেন দুই ওপেনার মাহফিজুল ইসলাম ও জসিম উদ্দিন। বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে সোমবার ৭ উইকেটে জেতে রূপগঞ্জ টাইগার্স। রেলিগেশন লিগের শেষ ম্যাচটিতে ২০৭ রানের লক্ষ্য ৯৫ বল বাকি থাকতেই ছুঁয়ে ফেলে তারা। দারুণ জয়ে প্রিমিয়ার লিগে টিকে রইল রূপগঞ্জ টাইগার্স। সব মিলিয়ে ১৩ ম্যাচে তাদের জয় ৪টি। আগের ম্যাচে সিটি ক্লাবের বিপক্ষে জিতলেও শেষ ম্যাচ হেরে আবার প্রথম বিভাগে নেমে গেল গাজী টায়ার্স। প্রথমবার ঢাকার ক্লাব ক্রিকেটের শীর্ষ পর্যায়ে এসে স্রফে এক আসর টিকতে পারল তারা। গাজী টায়ার্সের আগেই অবনমিত হয়েছে ১৩ ম্যাচে স্রফে ২ জয় পাওয়া সিটি ক্লাব। এই দুই দলের জায়গায় প্রথম বিভাগ থেকে উন্নীত হয়ে আগামী মৌসুমের প্রিমিয়ার লিগ খেলবে অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব ও গুলশান ক্রিকেট ক্লাব। বিকেএসপিতে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে গাজী টায়ার্সের প্রথম পাঁচ ব্যাটসম্যানই দুই অঙ্ক স্পর্শ করেন। কিন্তু ইনিংস বড় হয়নি কারও। সাত নম্বরে নামা অধিনায়ক গাজী তাহজিবুল ইসলাম খেলেন ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৪৪ বলে ৫২ রানের ইনিংস। কোনোমতে দুইশ পেরোয় তার দল। রূপগঞ্জের কোনো বোলার একাধিক উইকেট নিতে পারেননি। তবে আঁটসাঁট বোলিংয়ে সম্মিলিত অবদান রাখেন সবাই। রান তাড়ায় রূপগঞ্জ টাইগার্সকে কোনো চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে দেননি মাহফিজুল ও জসিম। শুরুর জুটিতেই দলকে অনেকটা পথ এগিয়ে নেন তারা। দুজনের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ১৫১ বলে ১৫৫ রান। ২৬তম ওভারে দুজনকেই ফেরান শামিম মিয়া। ৭ চার ও ২ ছক্কায় ৭৭ বলে ৭৪ রান করেন মাহফিজুল। জসিমের ব্যাট থেকে আসে ৯ চার ও ২ ছক্কায় ৭৫ বলে ৭৭ রান। এরপর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি শামসুর রহমান। তাতে সমস্যাও কিছু হয়নি। ৩১ বলে ৪১ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে জয় নিশ্চিত করেন সালমান হোসেন ও আব্দুল্লাহ আল মামুন। ৭৪ রানের ইনিংসে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন মাহফিজুল। ১১ ম্যাচে ৩টি পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংসে ৪১০ রান করে এবারের লিগ শেষ করলেন ২০২২ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ খেলা ওপেনার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
গাজী টায়ার্স ক্রিকেট একাডেমি: ৫০ ওভারে ২০৬/৭ (মহব্বত ২৭, ইফতেখার হোসেন ২৭, আশিকুর ১৭, হাফিজুর ২১, শামিম ৩২, আশরাফুল ২, তাহজিবুল ৫২*, ইফতেখার সাজ্জাদ ১৪, আরিদুল ১*; মহিউদ্দিন ১০-০-৩৫-১, আরিফুল ৬-১-১৯-১, মামুন ৮-০-৩৫-০, হাশিম ১০-২-৩৩-১, সোহাগ ১০-০-৪২-১, গালিব ৫-০-২৭-১, আইচ ১-০-১১-০)
রূপগঞ্জ টাইগার্স ক্রিকেট ক্লাব: ৩৪.১ ওভারে ২০৭/৩ (মাহফিজুল ৭৪, জসিম ৭৭, শামসুর ৭, সালমান ২৩*, মামুন ২০*; ইকবাল ৩-০-২৩-০, লিওন ৫-০-১৬-০, আরিদুল ৮-০-৩৮-১, ইফতেখার হোসেন ৪-০-৩৬-০, ইফতেখার সাজ্জাদ ৪-০-২৫-০, হাফিজুর ৩-০-১৭-০, শামিম ৫-০-৪৪-২, আশরাফুল ২.১-০-৮-০)
ফল: রূপগঞ্জ টাইগার্স ক্রিকেট ক্লাব ৭ উইকেটে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: মাহফিজুল ইসলাম