চট্টগ্রামের চন্দনাইশে তীব্র তাপদাহের সাথে পাল্লা দিয়ে পল্লী বিদ্যুতের মাত্রাতিরিক্ত লোডশেডিংয়ে জনজবীন বিপন্ন হয়ে পড়েছে। উপজেলায় পল্লী বিদ্যুতের ঘনঘন লোডশেডিং এবং বিদ্যুৎ বৈষম্যতা নিয়ে গ্রহকরা দিশাহারা। ঘন্টার পর ঘন্টা চলে লোডশেডিং। মাত্র ১০-১৫মিনিট বিদ্যুৎ সরবরাহ দেওয়ার পর চলে গেলে দুই-তিন ঘন্টায় ও দেখা নেই। বিদ্যুতের এমনি লেখায় বিদ্যুৎ জিনিসপত্র নষ্ট হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি ফ্রিজে রাখা মাছ-মাংস নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। লাগামহীন পল্লী বিদ্যুতের লোডশেডিং নামে গ্রাহক হয়রানির করা হয়। বিদ্যুৎ না থাকায় রাতের ঘুম হারাম হয়ে পড়েছে। পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সূত্রে মতে চন্দনাইশে তাদের ৭২ হাজার গ্রাহক রয়েছে। গ্রাহক হিসাবে উপজেলায় চাহিদা রয়েছে ২২ মেগা-ওয়াড। এদিকে চন্দনাইশে মোট ৬টি ফিডারে ভাগ করে গ্রাহকদের মাঝে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়ে থাকে। এ ৬টি ফিডারের মধ্যে ২ও ৩ নং ফিডারকে পৌরসভায় ভিআইপি লাইন হিসাবে ব্যবহার করে গাছবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিস ২৪ ঘন্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ করে যাচ্ছেন অথচ উপজেলার ইউনিয়নগুলোতে অন্য ৪টি ফিডারে ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুতের দেখা মিলছে না। এ ব্যাপারে গাছবাড়িয়া জোনাল অফিসের ইনচার্জ আবু সুফিয়ানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি গ্রীড থেকে চাহিদা মতে সরবরাহ পাচ্ছেন না উল্লেখ করে বলেন জোনাল অফিসের আওতায় বিদ্যুৎ চাহিদা রয়েছে দিনে ১৮ মেগা ওয়াড সরবরাহ ৭ মেগা ওয়াড রাতে ২২মেগা ওয়াড চাহিদার ক্ষেত্রে গ্রিড হতে সরবরাহ দেওয়া হচ্ছে ১০-১১ মেগা ওয়াড। তিনি যা গ্রিড থেকে সরবরাহ পাচ্ছেন পৌরসভায় নিজ বাসার কারণে ভিআইপি লাইন নামের সুবাধে অর্ধেকের চেয়ে বেশী ২ও ৩ নং ফিডারে নিরবিচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ দিয়ে যাচ্ছেন। যার কারণে বাকি ফিডারের গ্রাহকরা ২৪ঘন্টার মধ্যে ৩-৪ঘন্টা ও বিদ্যুৎ মিলছে না। মাত্রাতিরিক্ত লোডশেডিংয়ে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। বিষয়টি চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১এর জিএম দীলিপ চন্দ্র চৌধুরীকে অবিহিত করা হলে তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলে জানান।