নীলফামারীর সৈয়দপুর একটি ঘনবসতিপূর্ণ শহর। লোক সংখ্যা প্রায় ৪ লাখের বেশি। গত কয়েক সপ্তাহ থেকে এ শহরে চলছে প্রচন্ড তাপদাহ। তাপমাত্রা বিরাজ করছে কখনো ৪০ ডিগ্রি আবার কখনো বা ৪২ ডিগ্রি। প্রখর তাপদাহের কারণে শহরে লোক সমাগম কমে গেছে। সড়কগুলো অনেকটা ফাঁকা। বিশেষ কাজ ছাড়া মানুষ ঘর থেকে বাইরে বের হচ্ছেন না। দুপুরে শহরের ব্যস্ততম শহীদ ডাঃ জিকরুল হক সড়ক। লোক সমাগম একেবারে নেই বললে চলে। শহরের মধ্যে অনেক দোকান বন্ধ দেখা যায়। শহরের ঐতিহ্যবাহী তাজির উদ্দিন গ্রান্ড হোটেল এর মালিক মোঃ মতিয়ার রহমান জানান, প্রখর রোদের কারণে পড়ছে অতিরিক্ত গরম। শহরে লোকজন কমে গেছে। যার প্রভাব পড়ছে হোটেলে। লোকজন কম থাকায় হোটেলে কমে গেছে বেচা বিক্রি। কাপড় ব্যবসায়ি মোঃ চাঁন বিহারী বলেন, দোকান খুলে বসে আছি। ক্রেতা না থাকায় পুজিতে হাত পড়েছে। সৈয়দপুর অটোবাইক শ্রমিক কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক আরজু আহমেদ বলেন, রোদ ও গরমে মানুষ শহরে আসছে না। তাই অটোবাইকে দেখা দিয়েছে যাত্রি সংকট। নীলফামারী জেলা বাস মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মমতাজ আলি বলেন, অতিরিক্ত তাপমাত্রায় বাসের যাত্রি কমে গেছে। সৈয়দপুর ১০০ শয্যা সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক ডাঃ আবদুর রহিম জানান, রোদ ও গরমে শিশুসহ নানা বয়সি মানুষ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে আসছেন। ডায়রিয়া রোগির সংখ্যা বেড়েছে। প্রতিদিন হাসপাতালে ভিড় করছে কয়েক শতাধিক রোগি। কেউ সেবা নিয়ে চলে যাচ্ছে আবার কেউ বা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। জেলার একমাত্র তামান্না সিনেমা হলের পরিচালক মোঃ মাহবুব আলম ঝন্টু জানান, প্রচন্ড তাপদাহের কারণে হলে দর্শক নেই। এ অবস্থা চলছে কয়েক দিন থেকে। ফলে লোকসান গুনছেন তিনি। শরবত বিক্রেতা আরমান জানান, যেভাবে গরম পড়ছে তাতে মানুষ একটু পিপাসা মেটাতে শরবত খেয়ে থাকে। তবে এবার দেখা যায় ব্যতিক্রম। শরবত তেমন একটা বিক্রি নেই। লোকজন শহরে কম থাকায় কমে গেছে আয়। এদিকে পানির জন্য মুসল্লীরা মাঠে ময়দানে ইসতিস্কার নামাজ আদায় করছেন।