যশোরের ঝিকরগাছায় প্রসূতি মায়ের খরচের টাকা মেটাতে কন্যাসন্তান বিক্রি করেছেন। টাকার অভাবে যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালি ইউনিয়নের কামারপাড়া গ্রামের ভ্যানচালক মোঃ মাসুদ হোসেন এবং তার স্ত্রী রাহাতন বেগম তার সদ্য ভূমিষ্ঠ কন্যাসন্তান বিক্রি করেছেন। গত সোমবার (২৮ এপ্রিল) পৌর সদরের সালেহা ক্লিনিকে সন্তান বিক্রির ঘটনাটি ঘটেছে। নবজাতক বেচা কেনায় মধ্যস্ততাকারিণী হিসেবে গদখালী ইউনিয়নের পটুয়া পাড়া গ্রামের বুলুর স্ত্রী শিরিনা খাতুন জড়িত রয়েছে বলে অভিযোগ। গত সোমবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে সরেজমিন সালেহা ক্লিনিকে গিয়ে সালেহা ক্লিনিকে রাহাতন বেগমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার ২ মেয়ে ও ১ ছেলে আছে। এটা ছিল আমার চতুর্থ সন্তান। সন্তান জন্মের আগে আমাকে ফুসলিয়ে এই ক্লিনিকে নিয়ে আসেন পাশের গ্রাম পটুয়াপাড়ার বুলুর স্ত্রী শিরিনা। সে আমাকে বলে আমার সন্তানের নাড়িতে ঘা হয়েছে। আর টিউমার আছে। বাচ্চা নরমাল হবেনা। সকাল ১০ টায় আমার অপারেশনের পরই আমার নবজাত মেয়েটার মুখ দেখিয়ে বাচ্চাটা শিরিনা নিয়ে গেছে। এই বিষয়ে জানতে চাইলে শিরিনা খাতুন বলেন, আমরা গরীব মানুষ। অপারেশনের টাকা নেই। তাই আমি আমার পরিচিত একজনের কাছে বাচ্চাটি দিয়ে দিয়ে ক্লিনিকের টাকা পরিশোধ করেছি। এর আগেও শিরিনার বিরুদ্ধে নিঃসন্তান দম্পতিদের কাছে সন্তান বিক্রির অভিযোগ রয়েছে। সালেহা ক্লিনিকের মালিক শরিফুল ইসলাম বলেন, এই রুগী সিজার করানোর জন্য শিরিনা আমার সাথে ১২ হাজার টাকার চুক্তি করে। ঝিকরগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নারায়ণ চন্দ্র পাল বলেন, এভাবে বাচ্চা কেনাবেচা করার কোনো বিধান নেই। আপনি থানার ওসির সাথে কথা বলুন। তিনি স্ব প্রণোদিত হয়ে ব্যবস্থা নিতে পারেন অথবা আপনি একটা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।