বড়াইগ্রামে জাল দলিলে কোটি টাকার সম্পত্তি হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেছে একটি প্রভাবশালী মহল। ভূক্তভোগী জমির মালিক তাতে বাধা দেয়ায় তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বুধবার রাতে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ভূক্তভোগী ব্যক্তি।
লিখিত অভিযোগ ও ভূক্তভোগী সুত্রে জানা যায়, উপজেলার পারবোর্ণি গ্রামের আগষ্টিন রোজারিও’র ছেলে নিকোলাস রোজারিও তার নিজ নামীয় বোর্ণি মৌজার ৭৫৩ ও ৭৫৬ হালদাগের ৪ বিঘা জমি তার সমন্ধি (স্ত্রীর বড় ভাই) একই গ্রামের খাকুরি রোজারিও’র ছেলে নিকোলাস রোজারিওকে বর্গা দেন। জমির মালিক জীবিকার প্রয়োজনে সপরিবারে সিলেটে অবস্থান করতেন। এ সুযোগে বর্গাচাষী নিকোলাস রোজারিও জোনাইল বাজার সংলগ্ন পাকা রাস্তার পাশের প্রায় কোটি টাকা দামের এ জমিটি গোপনে অন্য একজনকে দাতা সাজিয়ে নিজ নামে রেজিষ্ট্রি ও খাজনা খারিজ করে নেন। পরে জমির মালিক বিষয়টি জানতে পেরে লিখিত অভিযোগ করলে তদন্ত ও শুনানী শেষে ২০১৬ সালে সহকারী কমিশনার (ভূমি) বর্গাচাষী নিকোলাস রোজারিও’র তৈরি করা দলিল ও খারিজ বাতিল করে দেন। এরপর জাল দলিলকারী নিকোলাস রোজারিও দলিলে খতিয়ান নম্বর ভূল হয়েছে বলে দাবি করে তা সংশোধনের মাধ্যমে জমি ফিরে পেতে আদালতে মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ শুনানী শেষে গত ২৮ মার্চ আদালত পুনরায় তার দলিল জাল বলে আখ্যা দিয়ে তা বাতিল করে রায় দেন। এরপর গত ২৮ এপ্রিল জমির মালিক নিকোলাস রোজারিও’র ছেলে আব্রাহাম রোজারিও মাপজোক করে জমির দখল বুঝে নিতে গেলে প্রতিপক্ষরা তাকে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ধাওয়া করে এবং প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। পরবর্তীতেও তিনি জমিতে যাওয়ার চেষ্টা করলে তারা নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে।
এ ব্যাপারে বর্গাচাষী নিকোলাস রোজারিও’র ছেলে রবি পিউস রোজারিও বলেন, এ জমি কেনার সময় দলিলে খতিয়ান নম্বর লিখতে ভুল হয়েছিল। আমরা আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছি, তবে এখনও শুনানী হয়নি। আর জমিতে গেলে প্রাণনাশের হুমকি দেয়ার অভিযোগ সঠিক নয়।
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিউল আজম খান বৃহস্পতিবার জানান, এ ব্যাপারে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।