সাতক্ষীরায় চারমাসে কমপক্ষে ৪৫জনের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে পৃথক ঘটনায় তিনটি হত্যা, বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ৬জন, ৮জনের আত্মহত্যা এবং সড়ক দুর্ঘটনায় ১৮জনের মৃত্যু হয়েছে।
এ ছাড়া বাঘের হামলায় একজন, ছাঁদ থেকে পড়ে একজন, পানিতে ডুবে একজন, সাপের কামড়ে একজন এবং সন্তান প্রসবের পর একজনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে পৃথক স্থান থেকে ৫টি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। চলতি ২০২৪ সালের পয়লা জানুয়ারি থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত শুধুমাত্র গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। তবে গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়নি এমন খবর থাকলে এ সংখ্যা আরও বাড়বে।
সূত্রমতে, জানুয়ারি মাসে অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে অন্তত দশ জনের। এরমধ্যে একটি শিশু হত্যা, ৩জন বিদ্যুৎস্পৃষ্টে, একজন আত্মহত্যা, সড়ক দুর্ঘটনায় ৪জন ও একজনের পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়।
সূত্রমতে, ফেব্রুয়ারি মাসে অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ১৪জনের। এরমধ্যে ৩জনের আত্মহত্যা, সড়ক দুর্ঘটনায় ৬জন, ৩টি মরদেহ উদ্ধার, একজন ছাঁদ থেকে পড়ে ও একজনের সাপের কামড়ে মৃত্যু হয়।
সূত্রমতে, মার্চ মাসে অস্বাভাবিক মৃত্যুবরণ করেছেন কমপক্ষে ১০জন। এদের মধ্যে একজন হত্যা, বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ২জন, একজন আত্মহত্যা, সড়ক দুর্ঘটনায় ৪জন, একটি মরদেহ উদ্ধার এবং সন্তান প্রসবের পর একজনের মৃত্যু হয়।
সূত্রানুযায়ী, এপ্রিল মাসের ২৬ তারিখ পর্যন্ত সাতক্ষীরায় অস্বাভাবিক মৃত্যুবরণ করেছেন অন্তত ১১জন। এরমধ্যে একজন হত্যা, বিদ্যুৎস্পৃষ্টে একজন, ৩জন আত্মহত্যা, সড়ক দুর্ঘটনায় ৪জন, একটি মরদেহ উদ্ধার ও বাঘের হামলায় একজন মারা যায়।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, ৫এপ্রিল আশাশুনির প্রতাপনগরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে সাহারুল সানা (৩০) নামের এক যুবক মারা যায়।
১০এপ্রিল শ্যামনগরে ধান ক্ষেতে সেচ দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিরোধে ভাতিজার লাঠির আঘাতে চাচা এসএম আলী আকবর (৭৫) নিহত হন। উপজেলার ভুরুলিয়া ইউনিয়নের নাকবাটি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ চারজনকে আটক করে।
১৪এপ্রিল স্বামীকে ভিডিও কলে রেখে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে সাতক্ষীরা শহরের কামালনগর এলাকার ইরানি আফরোজ তানু (২৭) নামের এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করে।
১৭এপ্রিল শ্যামনগরে প্রেমিকার উপর অভিমান করে গলায় ফাঁস দিয়ে প্রদীপ কুমার মন্ডল (২৭) নামের এক যুবক আত্মহত্যা করে।
১৯এপ্রিল শ্যামনগরের গাবুরার সোরা এলাকায় জনৈক সাইফুলের মৎস্যঘের থেকে অজ্ঞাত (৩০) ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
একই দিন সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জ নোটাবেকি এলাকায় বাঘের আক্রমণে মনিরুজ্জামান নামের এক মৌয়াল নিহত হয়। তার বাড়ি শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের ডুমুরিয়া গ্রামে।
২২এপ্রিল সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ধুলিহর সুপারিঘাটা এলাকায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ওসমান (৫) নামের এক শিশু নিহত হয়।
২৪এপ্রিল রাতে তালা উপজেলার খলিষখালী ইউনিয়নের বিশ্বেষকাটি গ্রামের সুকুমার মন্ডলের স্কুল পড়ুয়া কন্যা লাবনী মন্ডল (১৬) বিষপানে আত্মহত্যা করে।
২৫এপ্রিল সাতক্ষীরার বাইপাস সড়কে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় রাজমোহন ওরফে শুভ দাস (৩৫) নামের এক যুবক নিহত হয়।
একই দিন সাতক্ষীরার বৈকারী সড়কের আগরদাঁড়ি এলাকায় মোটরসাইকেল ও ট্রলির মুখোমুখি সংঘর্ষে পিতা-পুত্র নিহত হয়। নিহতরা হলেন-সাতক্ষীরার বৈকারী গ্রামের হাফিজুর রহমান বুলু (৬৫) ও তার পুত্র আবদুল আজিজ (২৫)।
তথ্যানুসন্ধানে আরও জানা যায়, মার্চ মাসে একজন হত্যা, বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ২জন, একজন আত্মহত্যা, সড়ক দুর্ঘটনায় ৪জন, একটি মরদেহ উদ্ধার এবং সন্তান প্রসবের পর একজনের মৃত্যু হয়।
সূত্রমতে, ৬মার্চ আশাশুনিতে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই কলেজ শিক্ষার্থী নিহত হয়। নিহতরা হলো-সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলা তারালি ইউনিয়নের আমানিয়া গ্রামের নিরঞ্জন ঘোষের ছেলে নয়ন ঘোষ (১৯) ও একই গ্রামের জগন্নাথ ঘোষের ছেলে উইলিয়াম ঘোষ (১৮)।
৯মার্চ সাতক্ষীরার দেবহাটায় সাইমা খাতুন (১৮) নামের গৃহবধূকে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন শ্বাস রোধে হত্যা করে। এ ঘটনায় সাইমা খাতুনের স্বামী তানজিম ইসলামকে আটক করে পুলিশ। আটক তানজিম ইসলাম আদালতে ১৬৪ধারায় জবানবন্দি দিয়ে দোষ স্বীকার করে বলে পুলিশ জানায়।
১২মার্চ সাতক্ষীরার ঝাউডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় শেখ মুস্তাফিজুর রহমান (৬৫) নামের অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী নিহত হন।
একই দিন সাতক্ষীরার তালায় কপোতাক্ষ নদ থেকে লুৎফর রহমান (৬৫)নামের এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
১৪মার্চ সন্তান প্রসবের পর মারা যান সাফ জয়ী শ্যামনগরের রাজিয়া খাতুন।
১৮মার্চ সাতক্ষীরা শহরতলীর ঝুটিতলায় আত্মহত্যার চেষ্টাকারী স্ত্রী রুপা খাতুনকে বাঁচিয়ে স্বামী সোহেল রানা (২৫) আত্মহত্যা করেন।
২১ মার্চ কলারোয়ায় ইটের খোয়া ভাঙ্গা মেশিন উল্টে আবুল হাসান (৩৫) নামের এক শ্রমিক নিহত হন।
৩০ মার্চ আশাশুনিতে সজনে গাছের ডাল কাটতে গিয়ে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে ইয়াকুব আলী (৫১) নামের কৃষক মারা যান।
৩১ মার্চ সাতক্ষীরার দেবহাটায় ইঁদুর মারার বৈদ্যুতিক ফাঁদে বিদ্যুতায়িত হয়ে গোলাম রসুল (৪৫) নামের এক কৃষক নিহত হন।
সূত্রমতে, ফেব্রুয়ারি মাসে ৩জন আত্মহত্যা, সড়ক দুর্ঘটনায় ৬জন, ৩টি মরদেহ উদ্ধার, একজন ছাঁদ থেকে পড়ে ও একজনের সাপের কামড়ে মৃত্যু হয়।
স্থানীয় ও পুলিশের ভাষ্যমতে, পহেলা ফেব্রুয়ারি দেবহাটায় গলায় ফাঁস দিয়ে দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী হেমা পারভীন (১৫) আত্মহত্যা করে।
সূত্র জানায়, ৪ফেব্রুয়ারি সাতক্ষীরার কালীগঞ্জে গলায় ফাঁস দিয়ে আবুল হাসান (২৮) নামের এক যুবক আত্মহত্যা করে।
৬ফেব্রুয়ারি সাতক্ষীরার তালায় নদী বিশ্বাস (১৪) নামের নবম শ্রেণীর এক ছাত্রী আত্মহত্যা করে।
৮ফেব্রুয়ারি সাতক্ষীরার কালীগঞ্জে ইটভাটার মাটি বহনকারী ডাম্পারের চাকায় পিষ্ট হয়ে আসাদুল ইসলাম (৫) নামের এক শিশু নিহত হয়।
৯ফেব্রুয়ারি সাতক্ষীরার বৈকারী ইউনিয়নের কাথন্ডা থেকে পুলিশ অজ্ঞাত নারীর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে।
১৫ফেব্রুয়ারি সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে বাড়ির ছাঁদ থেকে পড়ে রোকিয়া বেগম (৫৫) নামের এক নারী নিহত হয়।
একই দিন একই উপজেলায় পিকআপের ধাক্কায় লুৎফর রহমান(২৮) নামের এক যুবক নিহত হয়।
১৯ ফেব্রুয়ারি সাতক্ষীরার তালায় কাপড় জড়িয়ে ভ্যান থেকে পড়ে রোকেয়া খাতুন(৫৫) নামের নারী মারা যায়।
একই দিন কলারোয়ার যুগিখালি ইউনিয়নের কামারালী গ্রামে ফসলের ক্ষেতে কাজ করতে গিয়ে সাপের কামড়ে আকসেদ আলী(৭০) নামের এক কৃষক মারা যায়।
২০ফেব্রুয়ারি কালীগঞ্জের ভাড়াশিমলা সীমান্তে ইছামতি নদী থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে বিজিবি।
২২ ফেব্রুয়ারি সাতক্ষীরার ইছামতি নদী থেকে রিয়াজুল ইসলাম (৩০)নামের ভারতীয় বিএসএফ সদস্যের মরদেহ উদ্ধার করে বিজিবি।
২৩ফেব্রুয়ারি আশাশুনিতে সড়ক দুর্ঘটনায় ফজিলা খাতুন (৬০) ও আছিয়া খাতুন (৪৫) নামের দুই নারী নিহত হয়।
২৫ফেব্রুয়ারি সাতক্ষীরার ভোমরা সড়কের বাদামতলা এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় মামুন হোসেন(৩৫) নামের এক শ্রমিক নিহত হয়।
এদিকে, চলতি ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে সাতক্ষীরায় একটি শিশু হত্যা, তিনজন বিদ্যুৎস্পৃষ্টে, একজন আত্মহত্যা, সড়ক দুর্ঘটনায় ৪জন ও একজনের পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়।
পুলিশ ও স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, ৫জানুয়ারি সাতক্ষীরা সদরের আগরদাঁড়ি ইউনিয়নের ধলবাড়িয়া গ্রামে দ্বিতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী শিশু আরিফ বিল্লাহ (০৮)কে পুড়িয়ে হত্যা করে আর পিতা ইয়াসিন আলী। পুলিশ ঘাতক পিতাকে আটক করে। আটকের পর ইয়াসিন আলী পুলিশের কাছে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়।
১৪জানুয়ারি সাতক্ষীরার তালায় সড়ক দুর্ঘটনায় অভি কুমার দে(২২) নামের এক কলেজ ছাত্র নিহত হয়।
১৮জানুয়ারি শ্যামনগরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে সন্ন্যাসী চরণ দাস (৫৫) নামের এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়।
১৯জানুয়ারি সাতক্ষীরার কালীগঞ্জে পানিতে ডুবে ইব্রাহিম হোসেন(০৩) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়।
একই দিন শ্যামনগরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে উজ্জ্বল হোসেন (২৭) নামের এক যুবক মারা যায়।
২৪জানুয়ারি সাতক্ষীরা তালায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কামাল মাহমুদ(৫২) নামের এক ব্যক্তি মারা যায়।
২৬ জানুয়ারি সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে গলায় ফাঁস দিয়ে আল আমিন সরদার(২০) নামের এক কলেজ ছাত্র আত্মহত্যা করে।
২৭জানুয়ারি কলারোয়ার দমদম এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজ শিক্ষক মফিজুল ইসলাম (৫৫) নিহত হন।
২৮জানুয়ারি সাতক্ষীরার বিনেরপোতায় সড়ক দুর্ঘটনায় মরিয়ম খাতুন (৩০) নামের এক নারী শ্রমিক নিহত হয়।
৩০জানুয়ারি সাতক্ষীরা তালায় সড়ক দুর্ঘটনায় জামিরুল ইসলাম(১৫) নামের এক কিশোর নিহত হয়।
জেলায় চার মাসে ৮জনের আত্মহত্যাসহ ৪৫জনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে মানবাধিকার সাংস্কৃতিক ফাউন্ডেশন সাতক্ষীরা জেলা শাখার সদস্য সচিব এড. মুনির উদ্দীন বলেন, আত্মহত্যা মানে একটি সুন্দর জীবনের করুণ, অনাকাক্সিক্ষত ও অকাল মৃত্যু। আত্মহত্যা একটি আত্মধ্বংসী সিদ্ধান্ত। যা ঘটে গেলে সে জীবনে ফিরে পাওয়ার আর কোন সম্ভাবনা নেই। তবে আত্মহত্যা একটি প্রতিরোধযোগ্য স্বাস্থ্য সমস্যা। পৃথিবীতে অধিকাংশ দেশেই মৃত্যুর প্রথম দশটি কারণের মধ্যে আত্মহত্যা একটি। তিনি আরও বলেন বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মতে, প্রতিবছর বিশ্বে প্রায় ৮ লাখ লোক আত্মহত্যা করে। মৃত্যুর হার প্রতি লাখে ১৬জন অর্থাৎ প্রতি সেকেন্ডে একজন। আত্মহত্যার ৯৫ শতাংশ কারণ মানসিক আর ৫শতাংশ অন্যান্য কারণ। আত্মহত্যার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ব্যক্তিগত, সামাজিক ও পারিবারিক জীবনে সমস্যা, দাম্পত্য কলহ, পরকীয়া, প্রেম, যৌতুক ও পারিবারিক নির্যাতন, পরীক্ষায় ব্যর্থতা, ব্যবসায়ের অপুরনীয় ক্ষতি, চাকরিচ্যুতি, কোন নির্যাতনে শিকার হওয়ার পর নিজের প্রতি ঘৃণাবোধ, শিক্ষাক্ষেত্রে ও কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি, উত্ত্যক্ত করা ও আত্মহত্যায় প্ররোচিত করা, দারিদ্র, অপ্রাপ্তি, অর্থনৈতিক মন্দা, আত্মহত্যার উপকরণের সহজপ্রাপ্যতা, নৈতিক অবক্ষয় ও সামাজিক অস্থিরতা ইত্যাদি দায়ী। এ ছাড়া দুরারোগ্য ও জটিল রোগ যন্ত্রণা থেকে আত্মাহুতি, চরম হতাশা ও হতাশাজনিত মানসিক রোগ, মাদকাসক্তি ও অ্যালকোহলে আসক্তি ও ব্যক্তিত্বের সমস্যার কারণেও আত্মহননের ঘটনা ঘটে। কাউন্সিলিং ও পারিবারিক সচেতনতার মাধ্যমে আত্মহত্যার প্রবনতা রোধ করা সম্ভব বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এদিকে সাতক্ষীরা শহরের বিভিন্ন সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে সড়ক দুর্ঘটনা রোধকল্পে সড়কে চলাচলরত বিভিন্ন যানবাহনের চালক ও পথচারীদের সচেতনতামূলক মোবাইল কোর্ট পরিচালনা অব্যাহত রেখেছে জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ ও বিআরটিএ।
বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)’র চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদারের নির্দেশনা ও খুলনা বিভাগের পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মো. জিয়াউর রহমানের মনিটরিং মোতাবেক বিভিন্ন সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা, সড়ক দুর্ঘটনা রোধকল্পে সড়কে চলাচলরত বিভিন্ন যানবাহনের চালক ও পথচারীদের সচেতনতা করার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ ও বিআরটিএর সমন্বয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে। অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানো ও সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ এর বিভিন্ন ধারা ভঙ্গের কারণে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে। এ বিষয়ে সাতক্ষীরা বিআরটিএ’র সহকারী পরিচালক (ইঞ্জি:) কেএম মাহবুব কবির বলেন, সারাদেশের ন্যায় সাতক্ষীরাতেও তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যেও বিআরটিএ চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার, জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির ও বিআরটিএ খুলনা বিভাগীয় পরিচালক (ইঞ্জি:) মো. জিয়াউর রহমানের নির্দেশনায় খুলনা বিভাগের প্রত্যেকটি সার্কেলের আওতাধীন জেলার বিভিন্ন সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা, সড়ক দুর্ঘটনা রোধকল্পে সড়কে চলাচলরত বিভিন্ন যানবাহনের চালক ও পথচারীদের সচেতনতা করার লক্ষ্যে ধারাবাহিকভাবে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা অব্যাহত রয়েছে।