প্রায় ৬ মাস পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি রাখার পর অবশেষে তা তুলে নিল ভারত। শনিবার (০৪ মে) দেশটির বৈদেশিক বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক কেন্দ্রীয় সংস্থা ডিরেক্টোরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড (ডিজিএফটি) এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে নিশ্চিত করেছে এ তথ্য।
শনিবার দেশটির বৈদেশিক বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক কেন্দ্রীয় সংস্থা ডিরেক্টোরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড (ডিজিএফটি) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রতি টন পেঁয়াজের নূন্যতম রপ্তানিমূল্য (মিনিমাম এক্সপোর্ট প্রাইস- এমইপি) ৫৫০ ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে।
এদিকে ভারতের রাজনীতি বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, চলমান লোকসভা নির্বাচনের কারণে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারে আসীন দল বিজেপি। গত বছর ডিসেম্বরে পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রদানের কারণে ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য মহারাষ্ট্রের কৃষকরা ব্যাপক লোকসানের শিকার হন; ফলে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি ক্ষোভ রয়েছে তাদের। অন্যদিকে এবারের নির্বাচনে রাজ্যটির প্রতিটি সংসদীয় আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিজেপি প্রার্থীরা।
ভোটের ফলাফলে যেন কৃষকদের ক্ষোভের আঁচ না থাকে- সেজন্যই বিজেপি এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে বলে ধারণা অনেক রাজনীতি বিশ্লেষকের।
অন্যদিকে এর আগে গত ২৩ মার্চ ভারত পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা অনির্দিষ্টকালের জন্য বাড়ানোর ঘোষণা দেয় ভারত। তখন দেশের বাজারে দাম কিছুটা বাড়লেও, দুই দিন পর থেকে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করে।
তখন খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৬০-৬৫ টাকা থেকে কমে বিক্রি হয়েছিল ৫২-৬০ টাকায়। পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ৪৭-৫৩ টাকা থেকে কমে ৪২-৫২ টাকা হয়েছিল।
কারওয়ান বাজারের মেসার্স মাতৃভা-ারের স্বত্বাধিকারী সজিব শেখ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ভারত পেঁয়াজ রপ্তানির নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে মানুষ প্রচুর পরিমাণে পেঁয়াজ কিনেছে। এরপর বাজারে চাহিদা কমে গেছে।'
গত বছর ডিসেম্বরে পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। প্রথম পর্যায়ে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ ২০২৪ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত হলেও পরে তা আরও বাড়ানো হয়। তার আগে ২০২৩ সালের আগস্টে পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর ৪০ শতাংশ শুল্ক ধার্য করেছিল নয়াদিল্লি।