কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করে প্রথমধাপে জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে নিজ ভাইকে প্রার্থী করে বিজয় নিশ্চিত করতে নেতাকর্মীদের নিয়ে বৈঠক করেছেন বরিশাল-৬ (বাকেরগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য আবদুল হাফিজ মল্লিক।
উপজেলা নির্বাচন থেকে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী ও এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সেইসাথে নির্দেশনা না মানলে সাংগঠনিক কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের সতর্ক করা হলেও এখানে তার কোন ছিটেফোঁটা লাগেনি। শনিবার দুপুরে প্রতিদ্বন্ধী অন্যান্য প্রার্থীরা অভিযোগ করেন, বাকেরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী এমপি হাফিজ মল্লিকের ভাই আবদুল সালাম মল্লিকের পক্ষে কাজ করার জন্য তিনি (এমপি) আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিয়েছেন। এ ছাড়া কবাই ইউনিয়নের শিয়ালগুনি এলাকায় গত ৩ মে মধ্যরাত পর্যন্ত এমপি তার ভাইয়ের বিজয় নিশ্চিত করতে বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। এ সময় এমপি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শংকর কুন্ডকে সাথে নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছেন। সংসদ সদস্যর এমন কর্মকা-ে অন্যান্য প্রার্থীসহ উপজেলায় সাধারণ নেতাকর্মীর মাঝে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সুষ্ঠু পরিবেশে নির্বাচন হবে কিনা তা নিয়েও নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম ডাকুয়া অভিযোগ করে বলেন, আগামী ৮ মে অনুষ্ঠিত হবে উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। এখানে আমি তালা প্রতীকে ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধীতা করছি। কিন্তু নির্বাচনী এলাকায় সংসদ সদস্য হাফিজ মল্লিক অবস্থান করে তার আপন ছোট ভাই সালাম মল্লিকের উড়োজাহাজ মার্কার পক্ষে প্রচার প্রচারনা অংশগ্রহণ করে ভোটারদের বিভিন্নভাবে প্রভাবিত ও চাপ প্রয়োগ করছেন। সংসদ সদস্যর এমন কর্মকা-ে সুষ্ঠু ভোট হবে কিনা তা নিয়ে আমিসহ সাধারণ ভোটাররা চরম শঙ্কিত।
এ ব্যাপারে অভিযোগের বিষয়ে এমপি হাফিজ মল্লিকের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় কোন বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে বাকেরগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, এমপি এলাকায় অবস্থান করে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চালালে সেটা আচরণবিধি লঙ্ঘন করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করা হবে।