জামাই কালো বলে মেয়েকে ছাড়িয়ে নিয়ে ফর্সা ছেলের সঙ্গে বিয়ে দিতে ৬ মাসের গর্ভের সন্তান মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে মায়ের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে খুলনার পাইকগাছায়। জানা যায়, প্রায় তিন বছর আগে পাইকগাছা উপজেলার শ্রীকন্ঠপুর গ্রামের তাজামুলের সঙ্গে বিয়ে হয় সাদিয়ার। সে সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার রামনগর গ্রামের মৃত আবদুর রহিম মোড়লের মেয়ে। জামাইয়ের গায়ের রং কালো বলে মা সালমা বেগম তাকে পছন্দ করত না। তালাক দিয়ে ফর্সা ছেলে দেখে বিয়ে দেওয়ার কথাও জানায় মেয়েকে। কিন্তু মেয়ে রাজি হয় না। পরে ২ মে বৃহস্পতিবার মেয়ের গর্ভের সন্তান নষ্ট করতে কৌশলে সন্তান নষ্টের ওষুধ খাইয়ে দেন তিনি। পরের দিন শুক্রবার রাতে প্রচন্ড পেটে ব্যাথা হলে সাদিয়াকে পাইকগাছা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়। হাসপাতালের মিডওয়াইফ শামীমা ও রোখসানা খাতুন মৃত সন্তান প্রসব করান। সাদিয়া অভিযোগ করে বলেন, আমার মা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। আমাকে অন্যান্য ওষুধের সঙ্গে গর্ভপাতের ওষুধ খাইয়ে দেয় আমার মা। পরদিন আমার প্রচন্ড পেটে ব্যাথা হলে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ সময় আমার মৃত সন্তান প্রসব হয়। পাইকগাছা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. রোকসানা আফরোজ তানিয়া জানান, সাদিয়া নামে একজন গর্ভবতী পেটে প্রচন্ড ব্যাথা নিয়ে হাসপাতালে আসলে আমি তাকে দ্রুত ভর্তি করি। তারপর সে একটি মৃত ছেলে সন্তান প্রসব করে। সন্তানটিকে তাদের অভিভাবকের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। গর্ভপাতের ওষুধ খাওয়ানোর ফলে এমনটি হয়েছে কিনা সেটি এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পাইকগাছা থানার ওসি রঞ্জনকুমার গাইন উপপুলিশ পরিদর্শক হাফিজুর রহমান হাসপাতালে গিয়ে রাতেই রিপোর্ট সংগ্রহ করেন। থানার ওসি মো. ওবাইদুর রহমান বলেন, বিষয়টি আশাশুনি থানার রামনগরে বিধায় ওই থানায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ আছে। আমরা প্রতিবেদন দিয়ে সহযোগিতা করতে পারি।