শৈলকুপায় মফিজুল ইসলামের উপর দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়েছে। তিনি শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুত্বর আঘাত প্রাপ্ত হয়েছেন।রামদা ও লাঠিসোটা নিয়ে মাথায়সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। কান ও ডান চোখে আঘাতপ্রান্ত হয়েছেন, নাক দিয়ে রক্তক্ষরণ ঘটেছে। তার মোটর সাইকেল ভাংচুর করা হয়েছে। শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বন্দেখালি গ্রামে রাস্তার উপরে এই ঘটনা ঘটে।
সাংবাদিক মফিজুল ইসলাম ফেয়ার নিউজ এবং দৈনিক লোকসমাজ ও নয়াদিগন্ত পত্রিকার শৈলকুপা উপজেলা প্রতিনিধি ও তিনি শৈলকুপা প্রেসক্লাবের সিনিয়র নির্বাহী সদস্য।
সাংবাদিক মফিজুল ইসলাম জানান, জরুরী কাজে তিনি লাঙ্গলবাঁধ বাজারে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে বন্দেখালী পৌছালে একদল দুর্বৃেত্তেরা লাঠি ও রামদা মিছিলের মুখে পড়েন। তারা সাংবাদিকের গতিরোধ করে এবং বে-ধড়ক মারপিট করে। ভাংচুর করে মোটর সাইকেল।
লাঙ্গলবাঁধ বাজারে পুলিশ ক্যাম্পে আশ্রয় নেন। তাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল বলে অভিযোগ করছেন। বর্তমানে তিনি শৈলকূপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে।
হামলার খবর পেয়ে ক্যাম্পের পাশের উপজেলা মাগুরার শ্রীপুরের সাংবাদিকরা আহত মফিজুলের দেখতে আসেন। ভয়ে আহত মফিজুল দীর্ঘ সময় ক্যাম্পে অবস্থান করতে বাধ্য হয়। পরে লাঙ্গলবাঁধ ক্যাম্পের এসআই তৌকির সাংবাদিক মফিজুল ইসলাম কে বাড়ি পৌঁছে দেন। ক্যাম্প পুলিশ জানায় সাংবাদিক কে নিরাপদে বাড়ি পৌঁছে দিয়েছেন।
হামলার ঘটনা শৈলকুপা থানা পুলিশ কে জানিয়েছেন সাংবাদিক মফিজুল ইসলাম। তবে এখনো কেউ আটক বা গ্রেপ্তার হয়নি।
এদিকে সাংবাদিক মফিজুলের উপর হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন শৈলকুপা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকরা।তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়ায় অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি করছে প্রেসক্লাবের সভাপতি শাহিন আক্তার পলাশ ও সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান মিল্টন সহ সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ। হামলাকারী দুর্বৃত্ত-সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার ও আইনের আওতায় না হলে কর্মসূচি ঘোষণার হুঁশষ্টিয়ারী দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, শৈলকুপা আসনে এমপি পদে উপণ্ডনির্বাচনে শনিবার সন্ধ্যা রাতে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ঘোষনার সাথে সাথে দলের একাধিক গ্রুপের মুখোমুখি অবস্থান, ধাওয়া, ভাংচুর ও হামলার ঘটনা ঘটতে শুরু করেছে। যা ভোটারদের মধ্যে উদ্বেগ-আতঙ্ক সহ আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতির শঙ্কা তৈরী করেছে।