দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলায় দেখা দিয়েছে সুপেয় ও সেচের পানির তীব্র সংকট। ভূগর্ভস্থ পানির স্তর অনেক নিচে নেমে যাওয়ায় উপজেলার সাধারণ ও অগভীর প্রায় ৬০ ভাগ নলকূপে পানি উঠছে না। গত বছর ও শুষ্ক মৌসুমে উপজেলায় পানি সংকট দেখা দিয়েছিল, চলতি বছরেও তীব্র আকার ধারণ করেছে। ইঞ্জিন চালিত অগভীর নলকূপে পানি উঠছে, ফলে পানির যেমন সংকট দেখা দিয়েছে তেমনি জমিতে সেচ দেওয়া, রান্না-বান্না, গোসুল সহ প্রতিদিনের অনেক ব্যাহত হচ্ছে, ঐ সব এলাকার বাসিন্দাদের।
অপরদিকে আম ও লিচুর মুকুল ঝরে যাচ্ছে। ধানের জমিতে চিটা হওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকেরা। প্রায় ধানের জমিতে রোগ বালাই আক্রমণ বেড়েছে। উপজেলার মুকুন্দপুর ইউনিয়নের চকমহরম গ্রামের কৃষক সাজ্জাদ বলেন, তিনি ৬ বিঘা জমিতে বোরো ধান লাগিয়েছেন, কিন্তু মেশিনে পানি উঠছে না। ৫ ফিট গর্ত করে জমিতে পানি দিতে হচ্ছে। উপজেলা জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী মোঃ আবদুস সালাম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বৃষ্টি নাই তারপর প্রচন্ড খরা হওয়ায় পানির স্তর নিচে নেমে গেছে। ফলে উপজেলা জুড়েই পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বৃষ্টির বিকল্প নেই। কাহারোল উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলায় ৫ হাজার ৫ শত ৫০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ করা হয়েছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মল্লিকা রানী সেহান বীশ বলেন, ২/১ দিনের মধ্যে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা আছে, বৃষ্টি হলে এ সমস্যা থাকবে না। তারপরেও কৃষি বিভাগের পক্ষ হতে কৃষকদের বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা ও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।