নীলফামারীর সৈয়দপুরে পাগলা কুকুরের কামড়ে দুইজন আহত হয়েছেন। শহরের পাটোয়ারি পাড়ায় মোঃ জাকির হোসেন নামে এক যুবককে কামড়ে রক্তাক্ত করেছে। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঁচড়ে দিয়েছে। সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাসায় আছে। অপরপাশে ওই এলাকায় রাজমিস্ত্রীর কাজে এসে কুকুরের কামড়ের শিকার হয়েছেন আজগর আলী নামে একজন।
বর্তমানে সৈয়দপুর শহরে বেড়েছে কুকুরের উৎপাত। দল বেঁধে ওই কুকুর জটলা করছে শহর ও মহল্লার মোড়ে মোড়ে। রাতের বেলা কোন কোন এলাকায় কুকুরের ভয়ে প্রবেশ করা মুশকিল। না জানি কখন কামড় দেয়।
বেশ কয়েক বছর পুর্বে কুকুর নিধন করা হত। পৌরসভা ও সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে ওই নিধন কাজ করা হত।
তবে এখন আইন উল্টো। এখন আর কুকুর নিধন করা যাবে না। যদি কেউ কোন কুকুর হত্যা করেন তাহলে তাকে যেতে হবে জেলে। দিতে হবে জরিমানা।
কুকুরের কামড়ে হয়ে থাকে জলাতঙ্ক রোগ। আর এর শেষ পরিনাম মৃত্যু। তাহলে আমরা ধরে নিতে পারি কুকুর আমাদের আতংক। তারপরও কেন কুকুর মারা যাবে না এমন আইন করা হল। অনেক সময় ভ্যাকসিন পাওয়া যায় না। তখন কয়েক হাজার টাকা ব্যয়ে ভ্যাকসিন সংগ্রহ করতে হয় বাইরে থেকে।
তামান্না সিনেমা হলের পরিচালক মোঃ মাহবুব আলম ঝন্টু বলেন, শহরে কুকুরের ভয়ে পথ চলা মুশকিল। কুকুরগুলো দল বেঁধে চলে। কখন যে কাকে কামড় দেয় তা বলা যায় না। তাই ব্যবসা শেষে ভয়ে ভয়ে বাসায় যাই।ওই কুকুরের বিষয়ে পৌরসভার দায়িত্ব থাকলেও কেন যেন কর্তৃপক্ষ নিরব।