এক মাস ধরে যশোর শিশু সংশোধানাগারে আবদ্ধ রয়েছে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ইকবাল হোসেন নিরব (১৬) নামের এক শিক্ষার্থী। সপ্তম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। ওই মামলায় গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে তাকে সংশোধানাগারে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার ইকবাল হোসেন নিরব নওগাঁর মান্দা উপজেলার নলঘৈর গ্রামের আবদুল মাজেদ কবিরাজের ছেলে। উপজেলার সাহাপুর ডিএ উচ্চবিদ্যালয় থেকে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় সে অংশ নিয়েছে।
গ্রেপ্তার শিক্ষার্থী নিরবের পরিবারের দাবী, ওই স্কুলছাত্রী অপহরণের শিকার হয়নি। প্রেমের টানে কোনো যুবকের হাত ধরে উধাও হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে নিরবকে অন্যায়ভাবে জড়ানো হয়েছে। নিরব কোনোভাবেই এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ২২ মার্চ সকাল ৯টার দিকে ওই স্কুলছাত্রী বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়। এরপর থেকে সে নিরুদ্দেশ রয়েছে। এ ঘটনায় ওই স্কুলছাত্রীর দাদা বাদী হয়ে গত ৬এপ্রিল নিরবের বিরুদ্ধে মান্দা থানায় মামলা করেন। প্রায় দেড় মাস পেরিয়ে গেলেও ওই স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।
গ্রেপ্তার শিক্ষার্থীর বাবা আবদুল মালেক কবিরাজ বলেন, ‘ছেলে ইকবাল হোসেন নিরব এসএসসি পরীক্ষার পর কাজের সন্ধানে ঢাকায় চলে যায়। ঢাকায় অবস্থানকালে পরানপুর গ্রামের এক স্কুলছাত্রী নিরুদ্দেশ হয়। এ ঘটনায় মেয়েটির পরিবার আমার ছেলে নিরবকে সন্দেহ করে। সন্দেহের সূত্র ধরে মোবাইলফোনে আমার ছেলে নিরবকে ঢাকা থেকে মান্দা থানায় ডেকে নেয় পুলিশ।’
ভুক্তভোগী আবদুল মাজেদ কবিরাজ অভিযোগ করে বলেন, ‘পুলিশ আমার ছেলে নিরবকে থানায় নিয়ে কয়েকদফা জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেয়। গত ৫ এপ্রিল জিজ্ঞাসাবাদের নামে বাড়ি থেকে আবারও নিরবকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর ওই ঘটনায় তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠায় পুলিশ। নিখোঁজ স্কুলছাত্রীকে উদ্ধারসহ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় নেওয়ার জোর দাবী করছি।’
এ প্রসঙ্গে মান্দা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক কাজী বলেন, ‘অপহরণ ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা হওয়ায় শিক্ষার্থী ইকবাল হোসেন নিরবকে সমাজসেবা অধিদপ্তরের জিম্মায় দেওয়া সম্ভব হয়নি। তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তাকে যশোর সংশোধানাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
ওসি আরও বলেন, ভিকটিম ওই স্কুলছাত্রীকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। তাকে উদ্ধার করা গেলে ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।