নীলফামারীর সৈয়দপুরে এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে রেলওয়ের জায়গা দখল করে দোকান ঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। দখলকৃত জায়গা হল রেলওয়ের পানির পাম্প হাউসের। ১৫ শতাংশ ওই জায়গার বর্তমান বাজার মুল্য কোটি টাকার ওপরে। এ ঘটনায় সৈয়দপুর থানায় অভিযোগ দিয়েছেন রেলওয়ের ভূসম্পত্তি বিভাগের পার্বতীপুর ৮ নম্বর কাছারির মাঠ কানুনগো সাজ্জাদুল ইসলাম।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ব্যবসায়ী নিয়াজ আহমেদ বাবলু বলেন, দখল নয়, তিনি রেলের কাছ থেকে নিয়মতান্ত্রিক ভাবে ওই জমি ইজারা নিয়েছেন।
১৮৭০ সালে দেশের বৃহত্তম রেলওয়ে কারখানা সৈয়দপুরে স্থাপন করা হয়। কারখানার কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বসবাসের জন্য শহরের বিভিন্ন এলাকায় বাংলো,কোয়াটার নির্মাণ করা হয় ২ হাজার ৪৮৮টি। পানি সরবরাহের জন্য ৬টি পানির পাম্পহাউস নির্মাণ করা হয়।
ওই পানির পাম্প হাউসগুলো ছিল শহরের বিভিন্ন এলাকায়। সচল অবস্থায় একসময় ওই পানির পাম্প হাউসগুলো অচল হয়ে যায়। আর এ সুযোগে এক শ্রেণীর ভুমিদস্যু পাম্প এবং জায়গা দখলে নিয়ে তা ভেঙ্গে ফেলে। সময়ে সুযোগে সেখানে দোকান ও বাসা নির্মাণ করে। তবে এতে সহযোগিতা করে খোদ রেলেরই কতিপয় কর্মকর্তা।
তেমনি মুল কারখানার সামনে সাহেবপাড়ার ফুলবাগান নামক স্থানে পানির পাম্পহাউসের জায়গা দখলে নিয়ে দোকান নির্মাণ করা হচ্ছে। দখল বন্ধে সেখানে যান সৈয়দপুর রেলওয়ের ভূসম্পত্তি বিভাগের ঊর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী (এসএসএই/কার্য) শরিফুল ইসলাম। তিনি নির্মাণাধীন স্থাপনা ভেঙ্গে দিয়ে কাজ করতে নিষেধ করেন।
এরপর দোকান নির্মাণের বিষয়টি রেলওয়ের ভূসম্পত্তি বিভাগের পার্বতীপুর ৮ নম্বর কাছারির ফিল্ড কানুনগো সাজ্জাদুল ইসলামকে অবহিত করেন।
কানুনগো বিষয়টি সরজমিনে তদন্ত করে ওই দখলকারীর বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।