আশাশুনি প্রেস ক্লাবে হারানো চেকে টাকা বসিয়ে হয়রানির হাত থেকে রক্ষা পেতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। চেক এর মালিক নুরুজ্জামান মোড়ল রোববার (৫ মে) দুপুরে প্রেসক্লাব কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন করেন।
আশাশুনি সদরের মৃত কওছার আলী মোড়লের ছেলে নূরুজ্জামান সংবাদ সম্মেলনে তার লিখিত বক্তব্য ও সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে বলেন, আশাশুনি বাজারে মেসার্স সজল এন্টারপ্রাইজ নামে আমার একটি জুতার দোকান আছে। ব্যবসার প্রয়োজনে আশাশুনি গ্রামের মৃত গফুর সরদারের স্ত্রী ফজিলা খাতুন এর নিকট থেকে ১৫ হাজার টাকা নিয়ে তার জামানত স্বরূপ আমার মেসার্স সজল এন্টারপ্রাইজ এর নামীয় সোনালী ব্যাংক লি. আশাশুনি শাখার ২৮০১৯৩০০০০৭২ নং হিসাবের গছ/১০ ৮২৪৯২৬১ হতে গছ/৮২৪৯২৭০ সিরিজের মধ্যের চেকের ১টি পৃষ্ঠা তার কাছে জমা রাখি। এর কিছুদিন পরে ফজিলা খাতুন আমাকে বলে আমার সেই চেকের পাতাটি সে হারিয়ে ফেলেছে। যার স্বাক্ষী রয়েছে আশাশুনি গ্রামের তোফাজ্জেল সরদারের ছেলে আলী হোসেন ও মোহাম্মাদ সরদার।
এ ঘটনায় ২৭ এপ্রিল আশাশুনি থানায় ১১৫৮ নং একটি সাধারণ ডায়েরী দাখিল করেছি। ইতোমধ্যে ওই হারিয়ে যাওয়া চেকের পাতাটি আশাশুনির কোন এক ব্যক্তি পায় এবং ঐ চেকের পাতাটি সদরের হোটেল মালিক আবদুল আলিমের কাছে দেয়। এর আগে আবদুল আলিমের সাথে আমার যে টাকা (৪ লক্ষ ২০ হাজার) ধার নেওয়া ছিল তার সম্পূর্ণ টাকা তাকে পরিশোধ করে দেওয়ার পরও সে আমাকে ক্ষতি করার পাঁয়তারা করছিল। তার জেরে সে সোনালী ব্যাংক লি. এর ম্যানেজার নরেশ কুমার মন্ডল ও সেকেন্ড ম্যানেজার মোঃ রাজিব উল্লাহকে ম্যানেজ করে আমার হারিয়ে যাওয়া চেকটিতে ১৫ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা বসিয়ে চেকটি ডিজওনার করে নিয়েছে। চেকটি হারিয়ে যাওয়ার পর আমি ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানিয়েছি।
কিন্তু তারা আমার দরখাস্তটা আমলে নেয়নি বরং ব্যবস্থাপক নরেশ কুমার মন্ডলের যোগসাজসে আলিম হারিয়ে যাওয়া আমার চেকটি ডিজওনার করে নিয়েছে। যে কারণে আমি ক্ষতির আশঙ্কা প্রকাশ করছি। তাই আমি যাতে সম্ভাব্য ক্ষতি ও হয়রানি থেকে রক্ষা পেতে পারি তার জন্য সোনালী ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থা সহ সকলের নিকট ন্যায় বিচারের আবেদন করছি।