নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নিরবে সরবে ভোটের মাঠে লড়ছেন চেয়ারম্যান পদে ৬ প্রার্থী। গত ২ মে প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়। প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে প্রার্থীরা মাঠে তাদের নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু করেছেন। নিরবে সরবে এখন সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনী মাঠ।
আগামী ২১ মে অনুষ্ঠিত হবে নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। ষষ্ঠ এ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন ৬ জন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিন জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিন জন।
চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মোঃ আজমল হোসেন সরকার (আনারস), জাতীয় পার্টি সৈয়দপুর উপজেলা শাখার সভাপতি আলহাজ¦ জয়নাল আবেদীন (মোটরসাইকেল), সৈয়দপুর সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি মোস্তফা ফিরোজ (টেলিফোন), সৈয়দপুর সাংগঠনিক জেলা বিএনপির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মোঃ রিয়াদ আরফান সরকার রানা (দোয়াত কলম), জাতীয় ছাত্রসমাজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক নেতা ফয়সাল দিদার দিপু ঘোড়া ও মোঃ মহসিন আলী রুবেল (হেলিকপ্টার)।
এদিকে ভাইস চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন তিন জন। এদের মধ্যে নীলফামারী জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি মোঃ মহসিন মন্ডল মিঠু( চশমা), সৈয়দপুর উপজেলা কৃষকলীগ নেতা মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম, ( টিউবওয়েল) ও সৈয়দপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শেখ আব্দুল্লাহ (তালা)।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন ৩ জন। সানজিদা বেগম লাকী, (পদ্মফুল), মোস্তাফিজা হোসেন শিলা (প্রজাপতি) ও সুমিত্রা রানী (কলস)।
সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ আবদুল কুদ্দুস সরকার জানান, ইতোমধ্যে সকল প্রকার নির্বাচনী প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
এ উপজেলায় এবার ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ১৫ হাজার ৩৪৮ জন। তার মধ্যে ৫টি ইউনিয়নে ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ১৪ হাজার ৮০১ জন এবং পৌর এলাকায় ১ লাখ ৫৪৭ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৮ হাজার ২৪৪ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৭ হাজার ১০৪ জন। আগামী ২১ মে ভোট গ্রহণ।
ভোটের মাঠ ঘুরে জানা যায়, চেয়ারম্যান পদে ৬ জনের মধ্যে এগিয়ে রয়েছেন তিন জন। তারা হলেন আজমল হোসেন সরকার, জয়নাল আবেদীন ও মোস্তফা ফিরোজ। এ তিন প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে পারে। এদিকে ভাইস চেয়ারম্যান পদে দ্বিমুখী লড়াই হতে পারে মহসিন মন্ডল মিঠু ও আনোয়ারুল ইসলাম এর মধ্যে। তবে জরিপে এগিয়ে রয়েছেন মহসিন মন্ডল মিঠু। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিন জনের মধ্যে এগিয়ে রয়েছেন বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান সানজিদা বেগম লাকী। কারণ তিনি পরিচিত মুখ। অপর দুইজন নতুন। তাদের তেমন একটা পরিচিতি নেই নির্বাচনী মাঠে।