পূর্ব ও পশ্চিম রূপসা ইঞ্জিন চালিত নৌকা মাঝি সংঘের সভাপতি মো. হালিম শেখের বিরুদ্ধে আদালতে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (৬ মে) বেলা ১১ টায় রূপসা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে হালিম শেখের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন খুলনা জেলা শ্রমিকলীগের সদস্য মো. হায়দার আলী খান।
এ সময় লিখিত বক্তব্যে বলা হয় গত ১৭ ফেব্রুয়ারি মাঝি সংঘের ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে মো. হালিম শেখ সাধারণ ভোটারদের রায়ে সভাপতি নির্বাচিত হন। কিন্তু নির্বাচনের পর থেকে প্রতিপক্ষ একটি গ্রুপ তার সুনাম নষ্ট করার জন্য বিভিন্ন ভাবে ষড়যন্ত্র শুরু করে।
তার অংশ হিসেবে পূর্ব রূপসা ঘাটে পেপার বিক্রেতা শারীরিক প্রতিবন্ধী মো. তাছির উদ্দিনকে প্রভাবিত করে তার শাশুড়ির সাথে আমার অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে বলে বিভিন্ন ভাবে অপপ্রচার চালাতে থাকে। বিষয়টি আমি জানতে পেরে সম্মানহানির প্রতিকারের দাবিতে গত ২১ এপ্রিল রূপসা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করি। তারপর তাছির শাশুড়ীর বিষয়টি বাদ দিয়ে নিজের বুদ্ধি প্রতিবন্ধী স্ত্রীকে জড়িয়ে আমার বিরুদ্ধে গত ২৫ এপ্রিল খুলনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-০২, একটি মামলা দায়ের করেন। সেই অভিযোগে নানান রকম অনৈতিক মিথ্যা কল্পকাহিনী তৈরি করা হয়েছে। যার সাথে বাস্তবতার কোন মিল নেই বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। কারণ সে একজন বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী নারী। তাছাড়া সে সম্পর্কে পরিচয় আমার ভাগ্নি হয়। এ ছাড়া আদালতে মামলায় মুখের দুই পাশে ঠোঁটের উপরে সিগারেটের আগুন দিয়ে ছ্যাকা দেওয়ার যে কথা বলা হয়েছে, তার সাথেও বাস্তবতার কোন মিল নেই। কারণ হিসেবে তিনি জানান কখনো আমি সিগারেট খাই না যা সকলেই অবগত রয়েছেন। তিনি আরো বলেন এ বিষয়ে তাছিরের শাশুড়ি রেহেনা বেগমের কাছে আপনারা জানলে প্রকৃত ঘটনা জানতে পারবেন। মূলত সিগারেট দিয়ে পরিকল্পিত ভাবে মুখ পুড়িয়েছে তার জামাই তাছির উদ্দিন। তারপর বিষয়টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে। যা সঠিক ভাবে তদন্ত হলেই মুল ঘটনা বেরিয়ে আসবে বলে তিনি দাবী করেন।
লিখিত অভিযোগে আরো জানানো হয়, ইতঃপূর্বে তাছিরের সাথে আমার ১২০ টাকার মোবাইল লোড সংক্রান্ত বিরোধ ছিল। সেই বিরোধকে পুজি করে প্রতিপক্ষ গ্রুপটি তাছিরকে প্রভাবিত করে আমার বিরুদ্ধে লাগিয়ে দিয়েছে। যাতে আমি সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে না পারি। এ ছাড়া তিনি বলেন, ইতঃপূর্বে আমি মাঝি ইউনিয়নে ২০১৫ সালে ভোটারদের রায়ে সভাপতি নির্বাচিত হয়ে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছি। ৩ বার সহ-সভাপতি, ১ বার যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ও ১ বার প্রচার সম্পাদকসহ বিভিন্ন পদে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছি। যার কারণে এসব অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন দাবী করে তিনি এর তীব্র প্রতিবাদ জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মাঝি সংঘের সহ-সভাপতি মো. কামরুল ইসলাম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. খোকন শেখ, সহ-সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ মুন্সি, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ফজর আলী, প্রচার সম্পাদক মো. মহব্বত আলী, অফিস সচিব মো. সাহেব আলী, আবদুল জলিল শেখ সহ সহ সংগঠনের সদস্যবৃন্দ।