ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে লম্ব সময় ধরে শিরোপার দেখা পায় না ঐতিহ্যবাহী ক্লাব মোহামেডান। সর্বশেষ শিরোপাই জিতেছে ২০০৭-০৮ মৌসুমে! পরের বছর ২০০৮-০৯ মৌসুমে হয় রানার্সআপ! তার পর ১৫ বছর কেটে গেলেও শিরোপার দেখা পায়নি দলটি। তবে দীর্ঘ বিরতির পর এবার রানার্সআপ হওয়ার আক্ষেপ ঘুচিয়েছে তারা। সোমবার বিকেএসপিতে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সকে ধসিয়ে ৫৩ রানের দারুণ জয়ে প্রিমিয়ার লিগ শেষ করেছে রানার্সআপ হয়ে। ফতুল্লা খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে ওয়াইসি সিদ্দিকী ও হাবিব মোল্লার বোলিংয়ে মোহামেডান ১৭৬ রানে অলআউট হয়ে যায়। সহজ এই লক্ষ্যে খেলতে নেমে মোহামেডানের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিং ১২৩ রানে থামিয়ে দেয় গাজী গ্রুপকে। ১৭৭ রানের জবাবে খেলতে নেমে নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারাতে থাকে গাজী গ্রুপ। দলের কেউই বড় কোন ভূমিকা রাখতে পারেননি। টপ অর্ডার, মিডল অর্ডার ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ৩২.১ ওভারে ১২৩ রানে অলআউট হয় তারা। সর্বোচ্চ ২৯ রান আসে মাসুম খান টুটুলের ব্যাট থেকে। মেহেদী মারুফ ও প্রীতম কুমারের ব্যাট থেকে আসে ২৩ রানের ইনিংস। মোহামেডানের বোলারদের মধ্যে নাঈম হাসান তিনটি উইকেট নিয়েছেন। এ ছাড়া মুশফিক হাসান, মেহেদী হাসান মিরাজ, নাসুম আহমেদ প্রত্যেকে নেন দুটি করে উইকেট। এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে মোহামেডানও ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে। ৬৩ রানের মধ্যে টপ অর্ডারের চার ব্যাটারকে হারিয়ে বিপদে পড়ে গিয়েছিল। মেহেদী হাসান মিরাজের ৪৪ রানের ইনিংসে ভর করে মোহামেডান কোনো রকমে ১৭৬ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায়। মোহামেডানের ওপেনার রনি তালুকদারের ব্যাট থেকে আসে ৩৯ রানের ইনিংস। শেষ দিকে নাঈম হাসান ৩২ বলে ২২ রান করে মোহামেডানের স্কোরকে দেড়শ পেরুতে ভূমিকা রাখেন। গাজীর বোলারদের মধ্যে ওয়াইসি ৪২ রানে নেন চারটি উইকেট। এ ছাড়া হাবিব মেহেদী নেন তিনটি উইকেট।