কর্মক্ষম যুবকদের দেশ-বিদেশে চাকরির বাজারে চাহিদার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তোলা, দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবিকা সংস্থানের লক্ষ্যে আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিকরণের জন্য ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বর্তমান সরকার।
তারই ধারাবাহিকতায় সারা দেশের উপজেলা পর্যায়ে ৩২৯টি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ (টিএসসি) স্থাপন (দ্বিতীয় পর্যায়)। তার মাঝে রয়েছে বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলা। কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন জিওবি’র অর্থায়নে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। উজিরপুরে প্রকল্পের শুরুতেই স্থানীয় কতিপয় প্রভাবশালীর ব্যক্তি স্বার্থে সরকারের নিতিমালা অমান্যকরে স্থান নির্ধারণ করে প্রস্ত্যাব নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হরেছে।
উপজেলার মধ্যবর্তীস্থান ঘণবসতিপূণ এলাকায় সরকারের খাসখতিয়ানভূক্ত পরিত্যক্ত বহরকাঠি হাটের উঁচুঁ জমি রয়েছে সেখানে যোগাযোগ ব্যবস্থা সুবিধা জনক। সরকারের জমি থাকার পরেও উপজেলার দক্ষিণপ্রান্তের ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি যাহা নদী ভাঙ্গন কবলিত এলাকা সেখানের জমি অধিগ্রহণ করার জন্য একটি সুবিধাবাদী মহল পায়তারা চালাছে। এছাড়াও উজেলার প্রণকেন্দ্র পুকুর ভরাটের মাধ্যমে সরকারের অর্থ লোপাটের অপচেষ্টা চলছে।টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ নির্মানের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন শেষে স্থানীযরা বিক্ষোভ মিছিল করা হয়েছে।
সরকারের নিতিমালা অমান্যকরে প্রস্ত্যাবের বিরুদ্ধে ৭ মে মঙ্গলবার ১১টায় কারিগরি শিক্ষানুরাগী, উদ্যোক্তা ও সচেতন উপজেলাবাসীর ব্যানারে উজিরপুর উপজেলাবাসী বামরাইল ইউনিয়নের বহু বছরের পরিত্যক্ত বহরকাঠি হাট (পরিত্যাক্ত) এক সংবাদ সম্মেলনে হস্তিশুন্ড গ্রামের বাসিন্দা ও তিতাস গ্যাস টিএন্ডডি কোম্পানি লিমিটেডের সাবেক ডিজিএম প্রকৌশলী শহিদুল হক ডাকুয়া সকলের পক্ষে লিখিত বক্তব্য বলেন, সরকারের নিতিমালা অনুসারে তিন একর জমির কথা বলা হয়েছে। নদীর ভাংগনকুলে হতে পারবেনা। উঁচু জমি হতে হবে। সরকারি জমি হলে ভালো হয়। ভূমির ওপরে হাইভোল্টেজের বিদ্যুৎ লাইন থাকতে পারবেনা। যোগাযোগ ব্যবস্থা থাকতে হবে সুবিধাজনক।
গত ১ ডিসেম্বর ২০২৩ সালে তদকালিন উজিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রণতি বিশ্বাস (০৫.১০.০৬৯৪.০০২.০৩.০০১.২০.৬১৮ নং স্বারক) এ বরিশাল জেলা প্রশাসক বরাবরে ব্যক্তিমালিকানাধীন নদীর ভাংগনকুলের তিন একর জমির প্রস্তার পাঠান। ওই প্রস্তার নিতিমালা বহিরভূত। আমরা পূর্ণরায় তদন্তচাই। আমরা চাই সরকারের নিতিমালা অনুসারে হোক।
টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ প্রকল্প পরিচালকের নির্দেশনার সবগুলো শর্ত সম্মত উপযুক্ত ভূমির মধ্যেই রয়েছে, আমাদের প্রস্তাব বহরকাঠি হাটের বরাদ্দকৃত তিন একর সরকারি খাস জমি। অনাবাদি উঁচু ভূমি। ১০ থেকে ১২ কিলোমিটারের মধ্যে কোন নদীও নেই। ভূমির ওপরে হাইভোল্টেজের বিদ্যুৎ লাইন নেই। যোগাযোগের সুব্যবস্থা রয়েছে। বহরকাঠি হাটের ওই উঁচুঁ ভূমিতে টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ নির্মাণের জোর দাবি করছি। এখানে টিএসসি নির্মান করা হলে সরকারের জমি অধিগ্রহণ করতে হবেনা, মাটি ভরাট করতে হবেনা। সরকারে অর্থ ব্যয় কম হবে।
প্রকৌশলী শহিদুল হক ডাকুয়া আরো বলেন, চারিদিকে ঘণবসতি বিবেচনায় বৃটিশ সরকারের আমলে বহরকাঠি হাট পরিচালনার জন্য খাস জমি বরাদ্দ করা হয়েছিল। যুগের চাহিদায় সেই ঘণবসতি এখন আরও বৃদ্ধি পেলেও দীর্ঘবছর ধরে হাটটি বন্ধ হয়ে এখন পরিত্যক্ত অবস্থায় পরে রয়েছে।
বহরকাঠি চারিদিকে ৩ থেকে ৪ কিলোমিটারের মধ্যে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নেই। এছাড়াও প্রস্তাবিত জমির পাশে হাইওয়ে রাস্তাসহ পার্শ্ববর্তী ইউনিয়ন শোলক, বরাকোঠা, জল্লা, কারফা, সাতলা, হারতা ইউনিয়ন এবং গ্রাম ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের সাথে সুন্দরমানের চতুর্মুখী সড়ক ব্যবস্থা রয়েছে। এখানে টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হলে পর্যাপ্ত ছাত্র-ছাত্রী পাওয়া যাবে।
স্থানীয় বরিশাল বিএম কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ড.মো.মোয়াজ্জেম হোসেন, জনতা ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত জিএম মিজানুর রহমান, সরকারী শেরে বাংলা কলেজের অধ্যাপক জহিরুল ইসলাম, ররাকোঠা ডিগ্রী কলেজের অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম মোল্লা, প্রধানশিক্ষক আনোয়ার হোসেন, অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য আউয়াল বেপারী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. গিয়াস উদ্দিন, আলমগীর হোসেন বলেন,
একটি প্রভাবশালী মহল তাদের স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে উজিরপুর উপজেলার দক্ষিণপ্রান্তের সন্ধ্যানদী ভাংগণ কবলিত এলাকায় মালিকানাধীন জমিতে টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজটি প্রতিষ্ঠার জন্য পায়তার করছে। ওই জমি অধিগ্রহণ করা হলে জমির মালিককে সরকাবে কয়েক কৌটি টাকা পরিশোধ করতে হবে। আবার ওই নিচু জমি ভরাট করতে সরকারের বিপুল পরিমান অর্থ ব্যয় হবে। জমি ক্রয় ও মাটি ভরাট করতে সরকারে রাজস্বাহারাবে। বহরকাঠিতে করা হলে সরকারে অর্থ খরচ কম হবে এবং সকরারে উদেশ্য সফল হবে।
বহরকাঠিতে টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ প্রতিষ্ঠার দাবিতে শত শত একাবাসী বিক্ষোভ মিছিল করেছে।
এব্যপারে বর্তমান উজিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.সাখাওয়াত হোসেন বলেন, বহরকাঠিতে তিন একর সম্পত্তিনেই। সেখানে একটি হাট, খাল ও ডোবা কয়েছে। সেখানে সরকারে সম্পত্তি। তদন্ত সাপেক্ষে তদকালিন উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রস্তাব পাঠিয়ে।