নীলফামারী ডিমলা উপজলায় ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ৮ মে ২০২৪ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এরমধ্যে উপজেলার মোট প্রিজাইডিং অফিসার ৯৩ জন ও ১২৫৪ পুলিং অফিসারের ডিউটি বরাদ্দ হয়েছে উপজেলা নির্বাচন অফিস কতৃক।
ইতিমধ্যে ভোট গ্রহনের জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হযেছে।
দায়িত্ব প্রাপ্তদের মধ্যে (দায়িত্ব বাতিল) হওয়ার আতঙ্কে নাম প্রকাশে অনচ্ছিুক ও ক্যামেরার সামনে সাক্ষাতকার না দেয়ার শর্তে সকলের অভিযোগ তাদের বেশিভাগ দায়িত্বে থাকা পুলিং অফিসাররা প্রতিটি ভোটে কেউ না কেউ ভোটের দায়িত্ব পালন করে থাকেন। অনেক সময় দরদামে না মিলায় ডিউটি হতে বঞ্চিতও হন অনেকে। আবার নির্বাচন অফিসের কর্তাদের শর্ত মতে রাজি হলে একই ব্যক্তি বার বার ট্রেনিং করে ডিউটি তালিকায় নাম অর্ন্তভুক্ত করে ডিউটি পালন করার অভিযোগ রয়েছে। যা তালিকা সঠিকভাবে চেক করলেই থলের বিড়াল বেড়িয়ে আসবে।
এবারে ডিউটি নিতে গিয়ে চরম ভোগান্তিতে পরে ভুক্তভোগিরা কোন প্রকার বাক বিতন্ডায় না জড়িয়ে নির্বাচন অফিসের ওই সিন্ডিকিটটি কর্মকর্তাকে টাকা দিতে হবে মর্মে অর্থের বিনিময়ে ডিউটি নিশ্চিত করতে নগদ আর্থিক লেন দেনের চুক্তিতে বাধ্য করেন। ডিমলা উপজেলা নির্বাচন অফিসের সরকারী দায়িত্বে থাকা ষ্ঠফ ও অভিযুক্ত কর্মচারীগণ। আর সুবিধাভোগীদের অসদাচরন এবং ক্ষমতা দেখানো হচ্ছে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার। মনেহয় দেশটা মগের মুল্লুক হযেছে। তারাই সর্বসেরা। তাদের এই আফিসের এহেন সীমাহীন দুর্নীতি কর্মকান্ডের কারণ তারা প্রতিবার নির্বাচনে এরকম হাজারো ঘটনায় জড়িত থেকে এই অবৈধ কাজগুলো দির্ঘদিন বহাল তবিয়্যতে করেই আসছে। মনেহয় তাদের এই দুর্নীতির দেখার কেউ নেই। ভুক্তভোগিরা একটু লাভবান হওয়ার আশায় এবং ডিউটি হারানোর ভয়ে তাদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে ভয় পান। কারণ প্রতিবাদ অথবা অভিযোগ করতে গিয়ে যদি তাদের ডিউটি হারাতে হয় সে কারনেই নির্বাচন অফিসের সাথে দু একজন ষ্টাফ জড়িত এবং যারা এ সকল দুর্নীতির সাথে জড়িত তারা ডিউটি কনফার্মের আগে চুক্তির সাথে সুবিধাভোগীদের ভ’মকিও প্রদান করেন। যদি লেনদেনের বিষয়ে কাউকে বলেন বা কোথাও কোন অভিযোগ করেন তাহলে সারাজীবন আমাদের অফিসিয়াল ব্লাক লিষ্টে থাকবেন। আর কোনদিন ডিউটিসহ কোন প্রকার সুযোগ নুবিধা পাবেন না।
তাই সুবিধাভোগীরা সামান্য লাভের আশায় অভিযোগ করতে অনিহা প্রকাশ করেন এবং ভয় পান।
এ বিষয়ে ডিমলা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শুভ কুমার রায় বলেন, অভিযোগ গুলো আমি ইতোমধ্যে জানতে পেরেছি। তবে এই অভিযোগের সাথে আমার অফিসরে ষ্টাফ জড়িত থাকতে পারে। কিন্তু এ বিষয়ের সাথে আমি কোন ভাবেই জড়িত নই। এবং আমার বিরুদ্ধে আশারাখি কেউ কোন প্রমান উপস্থাপন করতে পারবেণা। এ বিষয়টি আমি ইতোমধ্যে অবগত হয়েছি যদি কেউ জড়িত থাকে তবে আমি আমার উর্দ্ধতনদের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
এ বিষয়ে ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে সালমা বলেন, বিষয়টি আমি জানতে পেরে তাৎক্ষনিক তদন্ত করে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষকে বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বলেছি।