নীলফামারীর সদর উপজেলার সোনারায় সংগলশী উচ্চবিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী মুন্নি আক্তার (১৪) কে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেওয়ায় অভিমানে স্কুলের পোশাক পরিহিত অবস্থায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
জানা যায়, গত মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) টিফিন বিরতিতে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে পার্শ্ববর্তী এলাকার নূর আমিনের ছেলে বহিরাগত শেফাউলের সঙ্গে ওই স্কুলের মুন্নি আক্তারের কথা হয়। কথা বলার সংবাদ পেয়ে প্রধান শিক্ষক তাদের অভিভাবকসহ শিক্ষক কমনরুমে ডেকে এনে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে বিচার শালিশ করেন।বিচার শালিশের একপর্যায়ে মুন্নি আক্তারকে সেদিন থেকে বিদ্যালয়ে আসতে নিষেধ করেন। মুন্নি আক্তার ওইদিনের ষষ্ঠ ক্লাস করেতে চাইলেও তাকে ক্লাস করতে দেন নি প্রধান শিক্ষক।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, মুন্নি স্কুল থেকে বাড়িতে আসার পর সোয়া চারটার দিকে স্কুল ড্রেস পরিহিত অবস্থায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। ওইদিন মুন্নির বাবা বাড়িতে পৌঁছার আগেই মুন্নির মৃত্যুর সংবাদ পায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সংগলশী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাহার উদ্দিন বলেন, প্রায়দিনই টিফিন পিরিয়রডে ওই ছেলেকে মুন্নি আক্তারের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায়। আমার প্রতিষ্ঠানে এক হাজারেরও অধিক শিক্ষার্থী পড়াশোনা করেন। আমার প্রতিষ্ঠানের সুনাম রক্ষার্থে তাঁদের ও অভিভাবকদের ডেকে এনে কথা বলি। সে ষষ্ঠ ক্লাস করতে চাইলে আমি করতে দেইনি। তাকে তার বাবার সাথে বাড়িতে যেতে বলি এবং সাতদিন পরে তাকে স্কুলে আসতে বলি।
এ বিষয়ে সোনারায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল হক শাহ্ বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি। মেয়েটার ক্লাস শেষ হওয়ার আগে তাকে স্কুল থেকে বের করে দেওয়া হয়। সে পোশাক পরিহিত অবস্থায় আত্মহত্যা করেন। এটির সুষ্ঠ তদন্ত হওয়া দরকার।
এ বিষয়ে নীলফামারী সদর থানার ওসি তানভিরুল ইসলাম বলেন, আমরা মৃত্যুর সংবাদ ৫ টায় পাই। আমরা উপস্থিত হওয়ার আগেই মরদেহ নামানো হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছিল। এখনো রিপোর্ট পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নং ২৯। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলেই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।