দিনাজপুরের বিরল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কাগজ কলমে চেয়ারম্যান পদে বর্তমান চেয়ারম্যানসহ ৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে নির্বাচনী মাঠে নাই ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও রাণীপুকুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আজম।
চেয়ারম্যান প্রার্থী ফারুক আজমের মুঠো ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও ফোন রিসিভ না করায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে একাধিক সূত্র জানিয়েছে তিনি নির্বঅচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। নির্বাচনী এলাকার কোথাও সাঁটানো হয়নি চেয়ারম্যান প্রার্থী ফারুক আজম এর ঘোড়া প্রতীক সম্বলিত কোন পোস্টার। নেই কোন নির্বাচনী প্রচার-প্রচারনা বা গণসংযোগ।
অন্যান্য চেয়ারম্যান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানগন গত ২ মে প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে ওইদিন বিকেল থেকে নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন এলাকায় স্ব-স্ব প্রার্থীর বরাদ্দ প্রতীক সম্বলিত পোস্টার দিয়ে ছেয়ে গেছে গোটা উপজেলা।
এখন নির্বাচনী মাঠে রইল মটর সাইকেল প্রতীকের প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক রমাকান্ত রায়, আনারস প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক এ. কে. এম মোস্তাফিজুর রহমান ও দোয়াত কলম প্রতীকের প্রার্থী উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি অ্যাডভোকেট সূধীর চন্দ্র শীল। চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থীসহ ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোঃ তোফাজ্জল হোসেন (মাইক), মোঃ আমিনুল ইসলাম (টিউবওয়েল), মোঃ আবদুল হালিম (তালা) এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফিরোজা বেগম সোনা (পদ্মফুল), সুলতানা ইয়াসমিন রুমন (ফুটবল) ও মোছাঃ তছলিমা বেগম (হাঁস) প্রতীক নিয়ে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারনায় মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। দুপুর হলেই মাইকিংয়ে সরগরম থাকছে উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহ। এছাড়াও চলছে প্রার্থীদের পৃথক পৃথক পথসভা, উঠান বৈঠক, মটর সাইকেল শো-ডাউনসহ বিভিন্ন প্রচারণা।