দেশের প্রধান দুটি রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ ছাড়াই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটারদের আগ্রহ অনেকাংশে কম পরিলক্ষিত হচ্ছে। দলীয় প্রতিক বিহীন এ নিবার্চনে আওয়ামী ঘরাণার প্রার্থী সকল পদেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
আজ ৮ মে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে কেশবপুর উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীরা মাদক, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজ নির্মূলের অঙ্গীকারসহ এলাকার জলাবন্ধতা নিরসন এবং বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট প্রার্থনা করেছেন। এদিকে তীব্র তাপদাহের কারণে অনেক ভোটার ভোট কেন্দ্রে যেতে আগ্রহ প্রকাশ করেননি।
কেশবপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনটি পদে ১৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে সাতজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে পাঁচজন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন দুইজন। চেয়ারম্যান পদে অংশ নেওয়া প্রার্থীরা হলেন মফিজুর রহমান (ঘোড়া), মঙ্গলকোট ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ-নূর-আল আহসান বাচ্চু (দোয়াত-কলম), বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী রফিকুল ইসলামের ছেলে উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক কাজী মুজাহীদুল ইসলাম পান্না (হেলিকপ্টার), বর্তমান উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আকতার সাদেক (শালিক), এসএম মাহবুবুর রহমান (মোটর সাইকেল), ওবায়দুর রহমান (জোড়া ফুল) ও ব্যবসায়ী ইমদাদুল হক (আনারস)।
এ ছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন, বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান পলাশ কুমার মল্লিক (উড়োজাহাজ), সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল লতিফ রানা (মাইক), সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সুমন সাহা (চশমা), আব্দুল্লাহ আল মামুন (তালা) ও মনিরুল ইসলাম (টিউবওয়েল)। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সাংবাদিক রাবেয়া খাতুন (ফুটবল) ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর মনিরা খানম (কলস)।
জয় পেতে সব প্রার্থীই দিনরাত সমানতালে প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছেন। ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে এসব প্রার্থীরা দিয়েছেন বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি। হাটবাজারসহ পাড়া-মহল্লায় বইছে এখন নির্বাচনী উত্তাপ। কে বিজয়ের মালা পরবেন, তা নিয়ে চলছে নানা বিশ্লেষণ।
বিভিন্ন এলাকা ঘুরে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ত্রিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস পাওয়া গেছে। এখানে নিবার্চনী দৌড়ে এগিয়ে আছেন ঘোড়া প্রতিকের প্রার্থী মফিজুর রহমান, দোয়াত কলম প্রতিকের প্রার্থী আব্দুল্লাহ নূর আল আহসান বাচ্চু ও কাজী মুজাহিদুল ইসলাম পান্নার হেলিকপ্টার প্রতিক।
এ তিন প্রার্থীর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা স্পষ্ট।
এদিকে তীব্র তাপদাহের কারণে অনেক ভোটার ভোটকেন্দ্রে যেতে অনাগ্রহ প্রকাশ করেন। লম্বা লাইনে দীর্ঘক্ষণ রোদের ভেতর দাঁড়িয়ে থাকলে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন-এমনটি জানিয়েছেন তারা। আবার কেউ কেউ বলেছেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান-ভাইস চেয়ারম্যানরা নির্বাচিত হওয়ার পর আর খোঁজ নেন না। এ কারণে ভোট দিতে আগ্রহ হারাচ্ছেন অনেকেই।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটানিং কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেন, কেশবপুর উপজেলা পরিষদ ১১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত। মোট ভোটার সংখ্যা দুই লাখ ২০ হাজার ৯৫৪ জন। এর ভেতর পুরুষ ভোটার এক লাখ ১১ হাজার ৭৭৫ জন, নারী ভোটার এক লাখ নয় হাজার ১৭৭ জন ও হিজড়া দুই জন। মোট ৯৫টি কেন্দ্রে ইভিএমে ৮ মে প্রথম ধাপে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে গত তিন দিন ধরে প্রশাসনের তরফ থেকে মাইকিং করা হয়েছে। ইভি এমে ভোট গ্রহনের কারণে ভোট প্রদানের অজ্ঞতা রয়েছে।