ময়মনসিংহের ভালুকায় তীর কোম্পানীর সিলমোহর লাগানো ৪০০ বস্তা (২০ মেট্রিকটন) ভারতীয় চিনি, একটি কাভার্ডভ্যানসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে মডেল থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার সকালে ভালুকা পৌরসভার ৮নম্বর ওয়ার্ড, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে এআর ফিলিং স্টেশনের পূর্ব পাশে গ্রেপ্তার ও জব্দ করা হয়। পুলিশ বাদি হয়ে মডেল থানায় তাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছে।
থানা সূত্রে জানা যায়, চুরাই পথে আনা ৪০০ বস্তা ভারতীয় চিনি (মূল্য ২৮ লাখ টাকা) ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট থেকে নিয়ে একটি কাভার্ডভ্যান (ঢাকা-মেট্রো-উ-১২-২২০০) গাজীপুরের মাওনা নিয়ে যাচ্ছিলো। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভালুকা মডেল থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল থেকে ৫০ কেজি ওজনের ৪০০ বস্তা চিনি, কাভার্ডভ্যানসহ চালক ও হেলপারকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার মালিখালি গ্রামের মনির হোসেনের ছেলে কাভার্ডভ্যানের চালক আবিদ হোসেন (২৩) ও তার সহযোগী ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার মুখি গ্রামের নিয়ামত আলীর ছেলে হেলপার আল আমীন (২৩)। ওই সময় নাঈম নামে অপর এক যুবক পালিয়ে যায়।
উল্লেখ্য, গত ৫ এপ্রিল রাতে ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ির জামিরদিয়া আইডিয়াল মোড় এলাকা থেকে ৪০৯ বস্তা ভারতীয় চিনি জব্দ করা হলেও রহস্যজনক কারণে চিনিগুলো গাজীপুর জেলার মাওনা এলাকার নাসির উদ্দিন নামে এক ব্যবসায়ী নিয়ে যান। অপরদিকে ২৬ মার্চ মাস্টারবাড়ি এলাকার নাজমুলের বাড়ি থেকে ২৪ বস্তা (৫০ কেজি) ভারতীয় চিনি জব্দ ও নাজমুলকে (২৫) গ্রেপ্তার করা হয়। তাছাড়া ৪ এপ্রিল ভালুকা উপজেলার চান্দের বাজার খোরশেদ মিয়ার স্টোর থেকে ফ্রেশ ও তীর কোম্পানীর সিলমোহর লাগানো ১৪০ বস্তা (৫০ কেজি) ভারতীয় চিনি জব্দ করা হয়। এ সময় দোকান মালিক খোরশেদ আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ভালুকা মডেল থানার পরিদর্শক (ওসি) মোহাম্মদ শাহ কামাল আকিন্দ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ৪০০ বস্তা ভারতীয় চিনি জব্দ ও দুইজনকে গ্রেফার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এ সময় একটি কাভার্ডভ্যান জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।