ময়মনসিংহের ভালুকায় হাজেরা খাতুন (৩৫) নামে এক গৃহবধূর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে মডেল থানা পুলিশ। মঙ্গলবার (৭ মে) দুপুরে বাড়ি থেকে ৩০০ গজ দূরে উপজেলার পশ্চিম কাচিনা গ্রামের মধূমার্কেট সংলগ্ন একটি ধান ক্ষেত থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ গৃহবধূর শ্বশুরী ও দুই ননদকে আটক করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পশ্চিম কাচিনা গ্রামের মধূমার্কেট এলাকার আজহার আলীর ছেলে সোহেল রানার (৪০) সাথে গত ১৭ বছর আগে পাশের পালগাঁও গ্রামের হাছেন আলীর মেয়ে হাজেরা খাতুনের বিয়ে হয়। তাদের দাম্পত্যজীবনে সানি (১৩) ও সাব্বির (১০) নামে দু’টি ছেলে সন্তান রয়েছে। সোহেল ঢাকায় বাসের হেলপার হিসেবে কাজ করে আসছেন। বেশ কয়েকদিন ধরে তিনি বাড়িতে বসবাস করছেন এবং তার স্ত্রী হাজেরা খাতুনের সাথে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রায়ই ঝগড়া হতো। সোমবার সকাল থেকে হাজেরা খাতুনকে খোঁজে পাওয়া যাচ্ছিলোনা, এমনকি সোহেলও কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে চলে যায়।
মঙ্গলবার সকালে বাড়ি থেকে ৩০০ গজ দূরে মধূমার্কেট এলাকায় স্থানীয় শামিম নামে এক ব্যক্তির ধানক্ষেতে হাজেরা খাতুনের গলাকাটা লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন ইউপি চেয়ারম্যান ও পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ দুপুরে লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
ভালুকা মডেল থানার পরিদর্শক (ওসি) মো. শাহ আলম আকন্দ জানান, ধান ক্ষেত থেকে গলাকাটা অবস্থায় গৃহবধূর লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। ওই গৃহবধূরকে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তার স্বামী প্রায়ই তাকে মারধর করতো। ধারণা করা হচ্ছে, স্বামীই তার স্ত্রীকে হত্যা করে ধান ক্ষেতে ফেলে পালিয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য নিহতের শ্বাশুরী সুফিয়া, ননদ আশা ও আঁখিকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধিন রয়েছে।