প্রায় সাড়ে ছয়মাস পর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও নরসিংদী জেলা বিএনপির সভাপতি খায়রুল কবির খোকন।
বুধবার (৮ মে) দুপুর সাড়ে বারোটায় তিনি কেরাণীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি লাভ করেন। এ সময় কারাফটকে খোকনকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেন নরসিংদী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরে এলাহী, জেলা বিএনপির সদস্য রফিকুল আমিন ভূঁইয়া রুহেলসহ বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, নরসিংদী জেলা ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণার পর থেকে সংগঠনটির দুটি পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন একটি পক্ষকে সমর্থন দিয়ে আসছিলেন। কমিটি ঘোষণার পর থেকে পদবঞ্চিতরা সাদেক ও মাইনুদ্দিনের নেতৃত্বে প্রতিবাদ মিছিল, বিক্ষোভ সমাবেশ, মানববন্ধন, সংবাদ সম্মেলনসহ শান্তিপূর্ণভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি ও আন্দোলন করে আসছিলেন।
এর ধারাবাহিকতায় ২০২৩ সালের ২৫ মে দুপুরে সাদেক ও মাইনুদ্দিনের নেতৃত্বে পিকআপভ্যান ও অন্তত ১০০ মোটরসাইকেল নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন ছাত্রদলের পদবঞ্চিত নেতারা। বিক্ষোভ মিছিলটি চিনিশপুর বিএনপির কার্যালয়ের দিকে যাচ্ছিল; ভেলানগর পার হয়ে চিনিশপুর সড়কে প্রবেশ করার পর কয়েকজন যুবক বিক্ষোভ মিছিলে ককটেল নিক্ষেপ করে। পরে তারা লাঠি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাদের ওপর হামলা করে অনেক নেতাকর্মীকে আহত করে। সাদেকুর রহমানের মাথায় গুলি লাগে। আশরাফুলও গুলিবিদ্ধ হন।
তাদের উদ্ধার করে প্রথমে জেলা হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওইদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সাদেকুর রহমান মারা যান। পরদিন সকালে আশরাফুলও মারা যান।
এ ঘটনায় নিহত সাদেকের ভাই আলতাফ হোসেন বাদী হয়ে বিএনপি নেতা খায়রুল কবীর খোকন ও তার স্ত্রী বিএনপির স্বনির্ভরবিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানাসহ ৩০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৩৫-৪০ জনকে আসামি রেখে নরসিংদী মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন।