গণ শৌচাগার-সংকটে ভুগছে পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলা সদরের বাজারের ক্রেতা ও বিক্রেতা সহ বাজারে আসা সাধারণ জনগণ। ব্যবসা কেন্দ্র হিসেবে পরিচিতি কাউখালী বন্দরে সপ্তাহের শুক্র ও সোমবার এই দুইদিন সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত বাজার বসে। এ ছাড়া প্রতিদিন কেনাকাটার জন্য শত শত লোকের সমাগাম হয় উপজেলার এ বন্দরে। এখানে ধান, চাল, শুপারী, পান, ডাব, কলা, নারকেল, আমড়া, পার্টি, মৃৎশিল্প, বিভিন্ন গাছের চারা সহ নানান দেশীয় পন্যের পর্যাপ্ত সরবরাহের ফলে সাপ্তাহিক বাজারের এই দু দিনে ঢাকা, খুলনা, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, বরগুনা, বরিশাল সহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার হাজার মানুষ এখানে বানিজ্যের উদ্দেশ্যে আসে। এ বাজারে রয়েছে প্রায় দুই হাজার ছোট বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। অত্যাধুনিক সকল সরকারী-বেসরকারী সুযোগ সুবিধা সম্ভলিত এ বন্দরের ক্রেতা সাধারণের জন্য নেই উল্লেখযোগ্য কোন গণ শৌচাগারের ব্যবস্থা। বাজারে বা মার্কেটে কোন শৌচাগার না থাকায়। এ কারণে ক্রেতা সাধারণ সহ বন্দরের ব্যবসায়ীরা এখানে সেখানে সুযোগ বুঝে তাদের প্রয়োজনীয় কাজ সেরে নেয়। এর ফলে নষ্ট হচ্ছে এ বন্দরের পরিবেশ। তবে এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশী সমস্যার সম্মুক্ষীন হতে হয় মহিলা ক্রেতাদের। বাজারে দুই একটি টয়লেট থাকলেও তা ব্যবহারে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বাজারে আসা মহিলা ক্রেতা তানিয়া বেগম বলেন আমাদের যখন বাথরুমের বেগ আসে তখন আমাদের সমস্যার কোন শেষ থাকেনা, বাধ্য হয়ে বাজারের আশেপাশের কোন বাড়িতে গিয়ে প্রয়োজনীয় কাজ সেরে আসি। দক্ষিণ বাজারের ব্যবসায়ী সাইদুর রহমান আক্ষেপ করে বলেন, বাজারের টয়লেট গুলো সংস্কার করা হচ্ছে না দীর্ঘদিন ধরে। ওই টয়লেট গুলোতে বর্তমানে গরু-ছাগলের খরকুটো রাখা হচ্ছে। ব্যবসায়ী নেতা আবু মাহমুদ ফরিদ ও শোয়েব সিদ্দিকী জানান, কাউখালী সদর বাজারের উত্তর ও দক্ষিণ বাজারে প্রয়োজনীয় টয়লেটের ব্যবস্থা না থাকায় ব্যবসায়ী, ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়েরই সমস্যা হচ্ছে। আমরা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে বিষয়টি তুলে ধরেছি। এ ব্যাপারে সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বরাদ্দ পেলে কাউখালী বাজারে প্রয়োজনীয় গণ শৌচাগার নির্মাণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এবং পুরানো টয়লেট গুলো সংস্কারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজল মোল্লা বলেন, কাউখালী সদরের উত্তর ও দক্ষিণ বাজারের পাবলিক টয়লেট গুলো অগ্রাঅধিকারের ভিত্তিতে সংস্কার করা হইবে।