আওয়ামী লীগের প্রতারণার ফাঁদে পা না দিয়ে দেশের ভোটারগণ উপজেলা নির্বাচন প্রত্যাখান করেছে বলে মন্তব্য করেছেন, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বুধবার (৮ মে) নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, মানবজাতি স্বৈরাচারের দুঃশাসনে বেশিদিন লুকিয়ে থাকতে ও নীরব থাকতে পারে না। অধিকার আদায়ে বুক বেঁধে সাহসের সাথে এগিয়ে যায়। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে একনায়কতন্ত্রের অপরাধগুলো ধিক্কার জানায়।
তিনি বলেন, দমনমূলক শক্তি ভোটারদের নিগ্রহ করছে, উগ্র রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে। নিকৃষ্ট লুন্ঠনের মাধ্যমে উপজেলা প্রতিষ্ঠানকে করা হয়েছে লুটেরা ও দস্যু দলের আখড়া। এমনও দেখা যাচ্ছে ভোটারবিহীন নির্বাচনে দুইবার উপজেলা চেয়ারম্যান হয়ে একশো বিঘার বেশী জমির মালিক হয়েছে। অথচ আইন অনুযায়ী ৬০ বিঘার বেশী জমি থাকতে পারে না। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি যতই উচ্চারিত হয়ে ততই সরকারের কাছে জেল-জুলুমের প্রয়োজনীয়তা বৃদ্ধি পায়। যারা দ্বিতীয়বার প্রার্থী হয়েছেন তাদের আগের হলফনামায় ঘোষিত আয়ের চেয়ে কয়েকজনের আয় বেড়েছে ৩ হাজার শতাংশের বেশী। কারো আয় বেড়েছে ১ হাজার শতাংশের বেশি।
রিজভী বলেন, ৭ জানুয়ারি ডামি নির্বাচনের পর এখন আবার আওয়ামী সাদা পোশাকধারী গেষ্টাপো বাহিনী নতুনরুপে আত্মপ্রকাশ করেছে। ছাত্র-যুবক-শ্রমিক-বুদ্ধিজীবীসহ অধিকার বঞ্চিত জনগণের ওপর দমন-পীড়ন-অত্যাচার-বন্দীশিবির-মত প্রকাশের স্বাধীনতা হরণ, মিথ্যা মামলায় আটক, খুন, ধর্ষণ, শত শত মানুষের নিরুদ্দেশ হয়ে যাওয়া, উচ্ছেদের রাজনীতি আর সীমাহীন সন্ত্রাস অবাধে চলছে রাষ্ট্রের মদদে। নতুন করে গুম ও বিরোধী দলের ওপর হিংসা আক্রমণ প্রতিদিনের সংবাদে পরিণত হয়েছে।
সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহতের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, পঞ্চগড়ে তেঁতুলিয়া সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ এর গুলিতে বাংলাদেশী নাগরিক আবদুল জলিল ও ইয়াসিন আলী নির্মমভাবে নিহত হয়েছেন। বিজিবি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ভারত যেন এখন সরাসরি রক্তাক্ত আগ্রাসন চালাচ্ছে বাংলাদেশে। আর এটি সম্ভব হয়েছে ডামি সরকারের আত্মা বিক্রির জন্য।