কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার গাজিরচর ইউনিয়নের উত্তর ডুলজান মধ্য বনের হাওরে মাছের প্রজেক্টের মধ্যে বিভিন্ন পুকুর হওয়ায় পানি নিষ্কাশনের পথটি বন্ধ হওয়ার কারণে এই হাওরের প্রায় ৫০০ শত থেকে ৬০০ শত একর জমি একটু বৃষ্টির পানিতে ইরি বোরো পাকা ধানের জমিগুলো তলিয়ে গেছে বলে গেছে অভিযোগ উঠেছে। কৃষকরা এসব জমি কাটতে গিয়ে ২০ হাজার টাকা থেকে ২৫ হাজার টাকা লাগতে পারে বলে অনেক কৃষকের অভিযোগ। এসব পাকা ধানি জমিকে রক্ষার জন্য জরুরি ভাবে খাল কাটার প্রয়োজন রয়েছে। বুধবার সকালে ক্ষতিগ্রস্থ উত্তর ডুলজান মধ্য বনের কৃষক মোঃ মঞ্জু মিয়া, আইয়ুব আলী, বাছির মিয়া, সাবেক মেম্বার মোতালিব মিয়া, আমিরুল ইসলাম, মোঃ হাজী, রমজান মিয়া, হায়দার আলী, মোঃ ফারুক মিয়া, বাক্কির মিয়া, মোঃ মুর্শিদ মিয়া, মোঃ আবদুল আওয়ালসহ অর্ধ-শত কৃষক এই প্রতিবেদককে বলেন, এই হাওরের চতুর্দিকে মাছের প্রজেক্টে ধানি জমি গুলোর পানি যাওয়ার পথ বন্ধ হওয়ার কারণে একটু বৃষ্টিতেই ইরি বোরো ধানের জমিগুলো তলিয়ে যায়। এতে কৃষকদের প্রায় কোটি টাকার ধান নষ্ট হয়ে যাওয়ার উপক্রম হচ্ছে। তারা বলেন, এই বনকে রক্ষার জন্য অতি জরুরী ভাবে খাল কাটার প্রয়োজন বলে বাংলাদেশ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করবেন কি? আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে তাদের আকুল আবেদন কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে সেই অঙ্গিকারের দৃষ্টিভঙ্গিতেই তারা মনে করছেন।