নীলফামারীর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা হল সৈয়দপুর। এ উপজেলায় ৫টি ইউনিয়ন এবং ১টি প্রথম শ্রেণীর পৌরসভা। লোক সংখ্যা প্রায় ৪ লাখ। ৫টি ইউনিয়নে ভোটার ১ লাখ ১৪ হাজার ৮০১ জন ও পৌরসভা এলাকায় ১ লাখ ৫৪৭ জন। মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ১৫ হাজার ৩৪৮ জন। এদের মধ্যে নারী ভোটা ১ লাখ ৭ হাজার ১০৪ জন ও পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৮ হাজার ২৪৪ জন। আগামী ২১ মে হবে ভোট গ্রহন। চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন ৬ জন প্রার্থী। তারা হলেন আওয়ামী লীগের আজমল হোসেন সরকার (আনারস), যুবলীগের মোস্তফা ফিরোজ (টেলিফোন) জাতীয় পার্টির মোঃ জয়নাল আবেদীন (মোটরসাইকেল), বিএনপির রিয়াদ আরফান সরকার রানা (দোয়াত কলম), জাতীয় ছাত্র সমাজের সাবেক নেতা ফয়সাল দিদার দিপু (ঘোড়া), ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ মহসিন আলি রুবেল (হেলিকপ্টার)। ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিন জন প্রার্থী। তারা হলেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের নীলফামারী জেলা সভাপতি মোঃ মহসিন মন্ডল মিঠু (চশমা), ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শেখ আব্দুল্লাহ (তালা) ও কৃষকলীগের মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম (টিউবওয়েল)। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিন জন। তারা হলেন, মোছাঃ সানজিদা বেগম লাকী (পদ্মফুল), সুমিত্রা রানী (কলস) ও মোস্তাফিজা হোসেন শিল (প্রজাপতি)। তিনজনেই আওয়ামী লীগ পরিবারের। সকল প্রার্থীর মাইকে প্রচারাভিযান চলছে। শহর ও গ্রামে একই তালে প্রচার করা হচ্ছে। বিভিন্ন গানের সাথে তাল মিলিয়ে করা হচ্ছে প্রচারাভিযান। কেউ কেউ সুন্দর সুন্দর ছন্দের সাথে প্রার্থীর গুনগান করে ভোট চাচ্ছেন। প্রচারকালে অনেকেই আলোচনা সমালোচনা করলেও ভোট নিয়ে কেন যেন ভোটাররা নিরব, নিস্তব্ধ। ভোটের যে আনন্দ সেটা এখন ভোটারদের মধ্যে নেই। অনেকটা ঝিমিয়ে পড়া অবস্থা বিরাজ করছে নির্বাচনী এলাকায়। অনেকে বলছেন দলীয়ভাবে নির্বাচন না হওয়ায় ভোটারদের মধ্যে নির্বাচনী আমেজ নেই। ৮ মে সৈয়দপুর উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায়, ভোটের যে উৎসব তা নেই। দুই, একজনের মুখে ভোটের কথা শোনা গেলেও অনেকের মুখ ছিল বন্ধ। কামারপুকুর ইউনিয়নের ভোটার আশরাফুল আলম বলেন, দলীয় প্রতীকে ভোট হলে তা হয় উৎসবমুখর। তখন ভোট নিয়ে সবখানে হয় আলোচনা সমালোচনা। এমনকি প্রার্থী নিয়েও চলে সমালোচনা ও আলোচনা। দলীয় প্রতীকে ভোট না হওয়ায় নির্বাচন নিয়ে তেমন একটা আনন্দ উদ্দীপনা নেই ভোটারদের মধ্যে। একই কথা বললেন, বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নের ভোটার বিশ্বনাথ সরকার। এদিকে কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের ভোটার দুলাল হোসেন বলেন, দলীয় প্রতীক দিয়ে ভোট হলে একটা অন্য রকম আনন্দ বিরাজ করে। তখন নিজ দলের প্রার্থীকে জয়ী করতে ভোটাররা কাজ করে।