৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ৮ মে বুধবার চাঁদপুর জেলার
মতলব উত্তর ও মতলব দক্ষিণ উপজেলা নির্বাচন কোন ধরনের গোলযোগ ছাড়াই শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্থানীয় এমপি ও সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম যাদেরকে সমর্থন দিয়েছেন চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সবাই জিতেছেন। বিজয়ীরা সকলে আওয়ামী লীগের সমর্থক।
মতলব উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বেসরকারী ফলাফলে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ মানিক দর্জি। ভাইস চেয়ারম্যান পদে কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক সদস্য রিয়াজুল হাসান রিয়াজ। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লাভলী চৌধুরী নির্বাচিত।
মতলব উত্তর উপজেলার ১ টি পৌরসভা ও ১৪ টি ইউনিয়নের ৯৯ টি কেন্দ্রের ফলাফলে ঘোড়া প্রতিকের বিজয়ী প্রার্থী মোহাম্মদ মানিক দর্জি পেয়েছে ৩৪ হাজার ২৮০ টি ভোট।তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জহিরাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আনারস প্রতিকের গাজী মুক্তার হোসেন পেয়েছে ১৬ হাজার ৬৬৯ ভোট। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ কুদ্দুস কাপণ্ডপিরিচ পেয়েছে ১৪ হাজার ৭২৩ ভোট।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে রিয়াজুল হাসান রিয়াজ টিউবওয়েল প্রতিক বিপুল ভোটের ব্যবধানে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান তালা প্রতিককে পরাজিত করে নির্বাচিত হয়েছেন।
মতলব উত্তর উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে ফলাফল ঘোষণা করেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন অফিসার আবু তাহের।
মতলব দক্ষিণ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগেরই সিরাজুল মোস্তফা তালুকদার, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাজমা আক্তার আসমা জয়লাভ করেছে।
এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রতিদ্বন্ধিতা করেন। তাদের মধ্যে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে দোয়াত-কলম প্রতীকে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন সিরাজুল মোস্তফা তালুকদার। তিনি ভোট পেয়েছেন ১৬ হাজার ৯শত ১০ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী আনারস প্রতীকে সৈয়দ মনজুর হোসেন পেয়েছেন ১৬ হাজার ১শত ১৬ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঘোড়া প্রতীকে বিএইচএম কবির আহমেদ পেয়েছেন ১৩ হাজার ৩৬১ ভোট। মোট ভোট পড়েছে ২৩.৬০%।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ফুটবল প্রতীক নিয়ে নাজমা আক্তার আসমা পেয়েছেন ২৩ হাজার ২৪৫ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি সাহিনুর বেগম (হাঁস) পেয়েছেন ২৩ হাজার ২২ ভোট। এই দুই প্রার্থীর হাড্ডা হাড্ডি লড়াইয়ের ভোটের ব্যবধান ছিলো মাত্র ২২৩ ভোট।