রংপুরের পীরগাছায় প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ মিলন। তিনি মোটর সাইকেল প্রতীক নিয়ে ৪২ হাজার ২৬৮ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মনোয়ারুল ইসলাম মাসুদ। তিনি দোয়াত কলম প্রতীকে পেয়েছেন ৪০ হাজার ৯৪৮ ভোট। অপর দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তছলিম উদ্দিন আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ২১ হাজার ৭৩১ ভোট এবং জাতীয় পাটির উপজেলা সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শাহ মাহবুবার রহমান ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ৩৩ হাজার ২৬৮ ভোট। অপরদিকে ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন মরহুম শাহ আবদুর রাজ্জাক এমপির নাতী শাহ মো: শারেখ খন্দকার জয়। তিনি মাইক প্রতীকে পেয়েছেন ৬৬ হাজার ৪৩৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী বিএনপির বহিস্কৃত নেতা শাহ ফরহাদ হোসেন অনু চশমা প্রতীকে পেয়েছেন ৩২ হাজার ১২৩ ভোট, আবদুর রহিম টিউবওয়েল প্রতীকের পেয়েছেন ২১ হাজার ৩২১ ভোট এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাফর ইকবাল তালা প্রতীকে পেয়েছেন ১৫ হাজার ৪৩৬ ভোট। জয়ী শাহ মো: শারেখ খন্দকার জয় উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সদস্য এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শাহ মো: শাহেদ ফারুকের মেজ ছেলে। এছাড়াও সর্বাধিক ভোট পেয়ে প্রজাপতি প্রতীকে নির্বাচিত হয়েছেন শারিরিক প্রতিবন্ধী মোছা: ইশরাত জাহান সুইটি। তিনি পেয়েছেন ৯৬ হাজার ৭৪৯ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী মোছা: রেহেনা বেগম পদ্মফুল প্রতীকে পেয়েছেন ১৪ হাজার ২৯৫ ভোট, মোছা: জরিনা বেগম ফুটবল প্রতীকে ১২ হাজার ২২ ভোট, মোছা: মাহমুদা বেগম হাঁস প্রতীকের পেয়েছেন ৮ হাজার ৬৭৫ ভোট, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান তানজিনা আফরোজ কলস প্রতীকে পেয়েছেন ৩ হাজার ১৯৯ ভোট এবং মোছা: শারমিন আক্তার বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীকে পেয়েছেন ৩ হাজার ৮১ ভোট। বুধবার রাতে উপজেলা পরিষদ হলরুমে বেসরকারি ভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারি রির্টানিং অফিসার মো: ফারুক আহম্মেদ। এতে চেয়ারম্যান পদে আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ মিলন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে শাহ মো: শারেখ খন্দকার জয় এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোছা: ইশরাত জাহান সুইটিকে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়। এদিকে উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত সদস্যদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈকিদলের নেতৃবৃন্দ, প্রেসক্লাবের সাংবাদিকবৃন্দ, সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।