দিঘলিয়া উপজেলার বারাকপুর গ্রামে গোলাম মিনার পুত্র হারুন মিনা (৪৫) কর্তৃক এক শিশু (৬) ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধর্ষককে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। এ ব্যাপারে দিঘলিয়া থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
ভুক্তভোগী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দিঘলিয়া উপজেলার বারাকপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের বারাকপুর উত্তর পাড়ায় এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। বুধবার (৮ মে) বিকাল ৫ টার দিকে ওই শিশু উঠানে খেলা করা অবস্থায় পাশের বাড়ির ধর্ষক হারুন মিনা তাকে নিজ ঘরে ডেকে নিয়ে জোর করে ধর্ষণ করে। এ সময় শিশুর চিৎকারে লোকজন ছুটে এসে ধর্ষক হারুন মিনাকে হাতেনাতে ধরে ফেলে এবং শিশুটিকে উদ্ধার করে। এ ঘটনা এলাকায় জানাজনি হয়ে পড়লে একটি মহল ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে এবং ভুক্তভোগীকে থানায় আসতে বাধার সৃষ্টি করে। তখন শিশুর স্বজনরা গোপনে ৯৯৯ এ কল দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ধর্ষক হারুনকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে এবং ধর্ষণের শিকার শিশুটিকে বুধবার (৮ মে) রাত সাড়ে ৯ টার দিকে দিঘলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ তাসনিয়া শিশুটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। পরবর্তীতে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে বলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মাহবুবুল আলম এ প্রতিবেদককে জানান।
দিঘলিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ বাবুল আক্তার এ প্রতিবেদককে জানান, সংবাদ পেয়ে পুলিশ তৎক্ষনাৎ ঘটনাস্থলে গিয়ে ধর্ষক হারুন মিনাকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে। এ ব্যাপারে ধর্ষিতার নানী আকলিমা বেগম নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে দিঘলিয়া থানায় মামলা রুজু করেছেন। মামলা নং ৮ ডারিখ ০৮/০৫/২০২৪ ইং। ধর্ষণ মামলা রুজু করা হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুশান্ত সরকার আজ সকালে দিঘলিয়া থানা পরিদর্শন করেছেন। তিনি এ সময় সাংবাদিকদের বলেন, পুলিশ সংবাদ পেয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে ঘটনাস্থল থেকে জঘন্য ন্যাক্কার ঘটনা যে ঘটিয়েছে, সেই ধর্ষককে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে। এই নৃশংস কাজ যে ঘটিয়েছে সেই অপরাধী যাতে পার না পায়, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি যাতে নিশ্চিত হয় সেই কাজটিই পুলিশ এখন করছে।