প্রধানমন্ত্রী একনেক বৈঠকে খুলনা মেডিকেল কলেজ প্রকল্প থেকে ‘শেখ হাসিনা’ নামটি বাদ দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন। পরে উপস্থিত সবার অনুরোধে এ নামটি থাকলেও আগামীতে আর কোনো প্রকল্পে নিজের নাম না দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় তিনি এ নির্দেশ দেন। প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় মোট ১০টি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়। এ সময় খুলনায় শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের অনুমোদন দেয় একনেক।
চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একটি বিশেষায়িত বার্ন ইউনিট স্থাপিত হবে। ঢাকার বাইরে প্রথম এমন প্রকল্পে খরচ হবে প্রায় ২৮৫ কোটি টাকা। খুলনায় স্থাপিত হবে শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়। ব্যয় হবে প্রায় ১ হাজার ৮৭৫ কোটি টাকা।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্পে প্রধানমন্ত্রী নিজের মুর্যাল না রাখারও তাগিদ দিয়েছেন। সভাশেষে পরিকল্পনা সচিব সত্যজিত কর্মকার জানান, অনুমোদিত ১০ প্রকল্পে ব্যয় হবে প্রায় ৫ হাজার ৫৬৪ কোটি টাকা।
সত্যজিত কর্মকার বলেন, ‘মাননীয় মন্ত্রীরা ওনাকে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন যে এটি বাদ দেয়া হলে আইন পরিবর্তন করতে হবে। ইতোমধ্যে জাতীয় সংসদে আইনটি পাস হয়ে গেছে। এ বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একটু উস্মাও প্রকাশ করেছেন, ওনার নাম ব্যবহারের ক্ষেত্রে। এবং বলেছেন, ভবিষ্যতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নাম ব্যবহারের আর উনি অনুমতি দেবেন না।’
সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে জবাবদিহি বাড়াতে ও প্রতিযোগিতামূলক করার লক্ষ্যে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করতে চায় সরকার। এজন্য প্রধানমন্ত্রী অর্থমন্ত্রণালয়কে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান পরিকল্পনা মন্ত্রী আবদুস সালাম।
পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, ‘যাদের তিন বছর হয়ে গেছে তাদেরকে বলা হয়েছে, তোমরা তোমাদের প্রফিট বৃদ্ধি করো যাতে তোমাদেরকে পাবলিক এনলিস্ট করা যায় বা স্টকে এনলিস্ট করা যায়। এটাই উদ্দেশ্যে। উদ্দেশ্য আর কিছু না। বিলম্ব করানোর উদ্দেশ্য হলো কোম্পানিগুলোকে কার্যকরি করা এবং প্রতিযোগিতা সৃষ্টি করা তাদের মধ্যে, প্রাইভেট কোম্পানির সাথে।’
এছাড়াও নির্ধারিত খরচে সময়মতো প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ভূমি অধিগ্রহণে বিশেষ উদ্যোগ নেয়ার সিদ্ধান্তও নেয়া হয় সভায়।