পাবনার চাটমোহর উপজেলার চরনবীন লাঙ্গলমোড়া ওয়ারেছিয়া দ্বিমুখি দাখিল মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন নিয়ে আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে। মাদ্রাসার সুপার মোঃ আঃ সামাদ কর্তৃক তাঁরপছন্দের লোকদের ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য মনোনীত করায় এবং অভিভাবক সদস্য পদের মনোনয়নপত্র অন্যান্যের কাছে বিক্রি না করায় মাদ্রাসার ৩ জন শিক্ষার্থীর অভিভাবক চাটমোহরসিনিয়র সহকারী জজ আদঅলতে এই মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ১৩০, তাং ৩০/০৪/২০২৪। মামলার বাদী লাঙ্গলমোড়া গ্রামের মোঃ আঃ মতিন, চরনবীন গ্রামের আবদুল গাফফার ও ধুলাউড়ি গ্রামের মোঃ আছলাম। মামলার বিবাদীগণ হলেন মাদ্রাসার সুপার মওলানা মোঃ আঃ সামাদ,মাদ্রাসার সভাপতি মোঃ আবদুল জব্বার, নির্বাচনের প্রিজাইডিং অফিসার ও উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ আঃ হালিম, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, পাবনা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী অফিসার।
মামলার বাদী পক্ষের অভিযোগ, মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন করার জন্য মাদ্রাসার সুপার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট আবেদন করেন। ইউএনও উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ আঃ হালিমকে প্রিজাইডিং অীফসার নিয়োগ করেন। সে মোতাবেক গত ১৬/০৪/২০২৪ ইং তারিখে নির্বাচনী তপসিল ঘোষিত হয়। ২১/০৪/২০২৪ থেকে ২৪/০৪/২০২৪ ইং তারিখ পর্যন্ত মনোনয়নপত্র বিতরণ ও গ্রহণ, ২৫/০৪/২০২৪ মনোনয়নপত্র বাছাই, ২৮/০৪/২০২৪ ইং তারিখ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার, ২৯/০৪/২৪ ইং তারিখে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ, ৩০/০৪/২০২৪ প্রতীক বরাদ্দ এব! ১৪ এপ্রিল নির্বাচনের দিন ধার্য করা হয়। মনোনয়নপত্র বিতরণ ও গ্রহণের জন্য মাদ্রাসার সুপারকে দায়িত্ব দেন প্রিজাইডিং অফিসার। কিন্তু মাদ্রাসারসুপার আঃ সামাদ মাদ্রাসার নোটিশ বোর্ডে নির্বাচনী তপসিল টাঙায়নি। সুপার ২১/০৪/২৪ ইং তারিখ থেকে ২৪/০৪/২৪ ইং তারিখ পর্যন্ত মাদ্রাসায় অনুপস্থিত ছিলেন। তিনি মনোনয়নপত্র বিতরণ ও গ্রহণ করেননি। মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে এসে অনেকেই ফরে যান। ভুক্তভোগি অভিভাবকরা সুপারের সাথে বারবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলেও সুপার ফোন রিসিভ করেননি এবং মাদ্রাসায় আসেননি। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রিজাইডিং অফিসারকে অভিভাবক সদস্য প্রার্থীরা জানালেও কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এ অবস্থায় ভুক্তভোগিরা নির্বাচন স্থগিত করার জন্য আদঅলতে মামলা করেন।
এ ব্যাপারে মাদ্রাসার সুপার মওলানা মোঃ আঃ সামাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি মোবাইল ফোন রিসিভ না করে কয়েক বার কেটে দেন। ফওল কথা বলা সম্ভব হয়নি। প্রিজাইডিং অফিসার মোঃ আঃ হালিম জানান, মামলার বিষয়টি আমার জানা নেই।