রেলওয়ে যাতায়াতে রংপুর বিভাগ থেকে ঢাকা পর্যন্ত পূর্বের রেয়াত পদ্ধতি চালুসহ চার দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে সচেতন রংপুরবাসী। এ সময় রেয়াত পদ্ধতি বাতিলকে অসাংবিধানিক অন্যায় এবং রংপুর বিভাগের সাথে বৈষম্য বাড়ানোর সামিল বলে দাবি করা হয়। একই দাবিতে আগামী ১৭ মে র্পাবতীপুর রেলওয়ে জংশনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে।
শুক্রবার (১০মে) দুপুরে রংপুর রেলওয়ে স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে এই মানববন্ধনে অংশ নেন কয়েকশ মানুষ। এ সময় দাবি আদায়ে বিভিন্ন ধরনের প্লাকার্ড প্রর্দশণ করে অংশগ্রহনকারীরা। তাদের সাথে সংহতি প্রকাশ করেন রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. তুহিন ওয়াদুদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন।মানববন্ধনে রেল, নৌ যোগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণ কমিটি, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সাবেক সভাপতি কলামিস্ট নাহিদ হাসান নলেজ বলেন, ১৯৯২ সালে রেয়াত পদ্ধতির মাধ্যমে রেলওয়ে যাত্রী সংকট মেটানোর উদ্যোগ নিয়েছিল। সে কারণেই রংপুর বিভাগ থেকে যাতায়াতে ১২০ কিলোমিটার পথের কোন ভাড়া লাগত না। কারণ সান্তাহার নাটোর চাটমোহর হয়ে ১২০ কিলোমিটার পথ ঘুরে রংপুর বিভাগ থেকে রেলওয়ে যাতায়াত করে। কিন্তু হঠাৎ করেই গেলো ৪ মে রেয়াত পদ্ধতি বাতিল করে ভাড়া আদায়ের কারণে রংপুর থেকে ৫০৫ টাকার ভাড়ার স্থলে ৬৩৫ টাকা গুনতে হচ্ছে এবং তিন ঘন্টা সময় বেশি লাগছে। এ সময় অবিলম্বে এই রেয়াত পদ্ধতি পুনর্বহাল, ব্রডগেজ লাইন নির্মাণ, সরাসরি রংপুর বিভাগ থেকে বালাসীঘাট হয়ে ঢাকা এবং বগুড়া থেকে সিরাজগঞ্জ পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণ করতে হবে।’
নাহিদ হাসান নলেজ আরও বলেন, ‘যতদিন পর্যন্ত রেয়াত বহাল করবে না। ততদিন পর্যন্ত আমরা প্রতি শুক্রবার রংপুর বিভাগের প্রতিটি স্টেশনে স্টেশনে এই কর্মসূচি পালন করবো। আগামী ১৭ মে পার্ বতীপুর রেলওয়ে জংশনে একই দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন হবে।
প্রসঙ্গত: গেলো ৪ মে রেলওয়ের ভাড়া বৃদ্ধি ছাড়াও রেয়াত পদ্ধতি তুলে দিয়ে ভাড়া আদায় করছে রেলওয়ে। ১৯৯২ সাল থেকে রংপুর বিভাগের যাত্রীরা এই রেয়াত পদ্ধতি পাওয়ায় ১২০ কিলোমিটারের ভাড়া মওকুফ পেতেন। এখন সেটি বন্ধ হয়ে গেলো। সময় ও অর্থ দুটিই বেশি দিতে হচ্ছে রংপুর বিভাগের যাত্রীদের।