ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে অংশ নিয়ে নিয়ম অনুযায়ী মোট প্রদত্ত ভোটের ১৫ শতাংশের নিচে ভোট পাওয়ায় কালীগঞ্জ উপজেলার ৪ প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন। জামানত হারানো ৪ জনই চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন। বুধবার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে কালীগঞ্জ উপজেলায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। এই উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে ৩ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রার্থী ভোটে অংশগ্রহণ করেন।
বুধবার রাতে বেসরকারি ভাবে ঘোষিত ফলাফলে দেখা যায়, জামানত হারানো হেবিওয়েট চেয়ারম্যান প্রার্থী এমদাদুল হক সোহাগ (কাপপিরিচ), জাহাঙ্গীর হোসেন সোহেল (টেলিফোন), মতিয়ার রহমান মতি (মোটরসাইকেল), রাশেদ শমশের (হেলিকপ্টার) প্রতীক এই ৪ হেবিওয়েট প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে। ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন শিবলী নোমানী। তিনি ভোট পেয়েছেন ৪২ হাজার ৬শ ৭৫ ভোট। বিজয়ী চেয়ারম্যান শিবলী নোমানীর প্রতিদ্বন্দি প্রার্থী মতিয়ার রহমান মতি পেয়েছেন ৫হাজার ৫শ ৭২ভোট, জাহাঙ্গীর হোসেন সোহেল পেয়েছেন ৪ হাজার ৮শ ১৮ভোট, ইমদাদুল হক সোহাগ ৩হাজার ৬শ ২৩ভোট, রাশেদ শমশের ৩হাজার ৫শ ১৯ ভোট পেয়েছেন।
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন অফিসার রশিদুল ইসলাম বলেন, কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ১১ টি ইউনিয়ন ও পৌরসভা এলাকায় ভোট কেন্দ্র ছিলো ৯১টি। কালীগঞ্জ উপজেলায় মোট ভোটার ২ লাখ ৪৪ হাজার ৯শ ২৪ জন। তন্মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ২৪ হাজার ৩শ ২৯জন, মহিলা ভোটার ১ লাখ ২০হাজার ৫শ ৯২জন। নির্বাচনে পদত্ত ভোটের সংখ্যা ৬৩ হাজার ১শ ১৬টি।
কালীগঞ্জ উপজেলায় প্রায় আড়াই লক্ষ ভোটার তন্মধ্যে ভোট পড়েছে ২৫ দশমিক ৭৭ শতাংশ। নির্বাচন কমিশনের আইন অনুযায়ী, প্রতিদ্বন্দি প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোট যদি মোট প্রদত্ত ভোটের ১৫ শতাংশের কম হয় তাহলে সে সব প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। হিসাব করে দেখা গেছে, মোট প্রদত্ত ভোট ৬৩ হাজার ১শ ১৬। বিধি মোতাবেক ১৫ শতাংশ হিসাবে একজন প্রার্থীকে নুন্যতম ৯ হাজার ৪শ ৬৭.৪টি ভোট পেতে হবে। সেই ক্ষেত্রে কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৪ জন হেবিওয়েট চেয়ারম্যান প্রার্থী তাদের জামানত হারালেন।
এদিকে জামানত হারানো প্রার্থীদের মধ্যে মতিয়ার রহমান মতি, রাশেদ শমসের সাবেক উপজেলা ভাইচ চেয়ারম্যান, জাহাঙ্গীর হোসেন সোহেল সাবেক জেলা পরিষদের সদস্য, কালীগঞ্জ উপজেলা কমিউনিটি পুলিশের সাধারন সম্পাদক ইমদাদুল হক সোহাগ।
আগের বিধিমালায় নির্বাচনে প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের ১ ভাগের কম পেলে জামানত বাজেয়াপ্ত হতো। এ ক্ষেত্রে প্রদত্ত ভোটের সাড়ে ১২ শতাংশের কম পেলে জামানত বাজেয়াপ্ত হতো। সংশোধিত বিধিমালা এটি সংশোধন করে ১৫ শতাংশ হয়েছে। অর্থাৎ নির্বাচনে প্রদত্ত ভোটের ১৫ শতাংশের কম পেলে ওই প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।