কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ভোট কারচুপি, কেন্দ্র দখল, জালিয়াতি ও মারধরের অভিযোগ করেছেন এক প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী। ৯ মে বৃহস্পতিবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ অভিযোগ করেন। ওই চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হলেন মামুন আল মাসুদ খান। তিনি কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান। তিনি ২০১৪ সালে প্রথমে উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান ও ২০১৯ সালে চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হন। এবারও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কাপ-পিরিচ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তিনি। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী মো: আওলাদ হোসেন (নির্বাচিত)।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে মামুন আল মাসুদ খান বলেন, আমি যখন সকালে বৌলাই সৈয়দ হাবিবুল হক উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শনে যাই আমার নজরে বিভিন্ন অনিয়ম দেখতে পাই, আমি প্রতিবাদ করিনি এরপরও আমার প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থীর লোকজন আমাকে ঘেরাও করে অশালীন আচরণ ও স্লোগান দিয়ে গাড়ি ভাংচুর করে। আমি সাথে সাথেই প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে ও সংশ্লিষ্ট সব যায়গায় জানালেও কোন প্রতিকার/ব্যাবস্থা নেওয়া হয়নি। বিকেলে আমার ছোট ভাই আলম ওই কেন্দ্রে গেলে তার উপর হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত করে, প্রাণভয়ে সে নিরাপদ স্থানে দৌড়ে পালায়।
বৌলাই ও যশোদল ইউনিয়নের এমন ১০/১২টি কেন্দ্রে আমাদের এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়ে তারা কেন্দ্র দখল, ভোট কারচুপি ও জালিয়াতির মাধ্যমে জয়লাভ করে। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বিচার প্রার্থী হয়েছি। ভবিষ্যতে এমন ঘটনা যেন আর কোথাও না ঘটে। এ ছাড়া নির্বাচনসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিভিন্ন সময়ে অভিযোগ দিয়েও তাঁদের কোনো তৎপরতা পাননি বলেও দাবি করেছেন এ প্রার্থী।
চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ও বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মামুন আল মাসুদ খান জানান, আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে ভোটের আগে ও ভোটের দিন তাদের প্রশাসনিক ক্ষমতা, জালিয়াতির নীলনকশা ও পেশীশক্তির কারণে আমার সাধারণ ভোটাররা ঠিকতে পারেনি মাঠে। আমাকে পরাজিত করানো হয়েছে।