পাবনার সুজানগরের সাতবাড়ীয়া ইউনিয়নের ভাটপাড়া গ্রামে এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে চলছে রাজনৈতিক কাঁদা ছোড়াছড়ি। এতে ধর্ষিতার পরিবার ও সুজানগর থানা পুলিশ বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, গত শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ৮টার দিকে ভাটপাড়া গ্রামের উমেদ আলী মৃধার ছেলে বারেক মৃধাসহ আরো ৪/৫জন যুবক ওই গ্রামের আনিসুর রহমানের অষ্টম শ্রেণীতে পড়ুয়া মেয়েকে জোরপূর্বক বাড়ি থেকে ধরে পার্শ্ববর্তী একটি সুপারির বাগানে নিয়ে যায়। একপর্যায়ে ওই বারেক মৃধা তাকে ধর্ষণ করে এবং অন্যরা ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এ সময় ধর্ষিতার চিৎকার এলাকাবাসী ছুটে গেলে ধর্ষকসহ অন্যরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় সুজানগর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা হয়েছে। পুলিশ আসামিদের ধরতে জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। অথচ একটি স্বার্থান্বেষী রাজনৈতিক মহল ধর্ষণের ওই ঘটনাকে নিয়ে অপরাজনীতি করছে। ভাটপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আবদুস সোবহান শেখ বলেন ধর্ষক এবং ধর্ষিতার পরিবার একটি রাজনৈতিক দলের সমর্থক হলেও তারা সক্রিয়ভাবে দলের সাথে সম্পৃক্ত না। তাছাড়া ধর্ষকসহ তার সহযোগীদের কোন প্রকার রাজনৈতিক পদপদবীও নেই। এমনকি সম্প্রতি অনুষ্ঠিত সুজানগর উপজেলা নির্বাচনের সাথেও ওই ধর্ষণের ঘটনার কোন সম্পর্ক নেই। একই গ্রামের বাসিন্দা কোমর উদ্দিন শেখ বলেন ধর্ষণের মত ঘৃণিত কাজ বা অপরাধের সাথে কোন প্রকার রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা থাকতে পারে না। ধর্ষণ তো ধর্ষণই, ধর্ষণের দায়ভার কখনো কোন রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তির উপর বর্তায় না। তাছাড়া কোন রাজনৈতিক ব্যক্তি বা নেতা কখনো কাউকে ধর্ষণ করার নির্দেশ দিতে পারে না। কিন্তু একটি স্বার্থান্বেষী রাজনৈতিক মহল বিশেষ ফায়দা হাসিলের জন্য সম্প্রতি অনুষ্ঠিত সুজানগর উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে সৃষ্ট বিরোধের জের ধরে জনৈক রাজনৈতিক ব্যক্তির ইশারায় ওই ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে বলে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারণা চালাচ্ছে। তবে ধর্ষিতার সাথে কথা হলে সে ধর্ষক এবং তার সহযোগীদের নাম বললেও এ ঘটনার সাথে কোন রাজনৈতিক ব্যক্তির সম্পৃক্ততা নেই বলে জানায়। শুধু তাই নয়, সুজানগর থানা পুলিশ এবং ধর্ষিতার পরিবার ধর্ষণের ওই ঘটনাকে নিয়ে রাজনৈতিক কাঁদা ছোড়াছড়ি করায় বিব্রত বোধ করছেন। অফিসার ইনচার্জ মোঃ জালাল উদ্দিন বলেন আইন তার নিজের গতিতে চলে। ধর্ষণের ঘটনায় রাজনৈতিক রং মাখিয়ে কোন লাভ হবে না। ধর্ষণের বিচার যথাযথ আইনেই হবে।