কিশোরগঞ্জে পূর্ব বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসী হামলায় মুকুল মিয়া নামের এক শ্রমিককে কুপিয়ে আহত করেছে। সে এখন শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
জানা গেছে গত শনিবার সকালে জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার জয়কা ইউনিয়নের খিদিরপুর তুফানিয়া মোড়ের সিদ্দিক মিয়ার চায়ের স্টলের ভেতরে এ ঘটনা ঘটে। মামলার অভিযোগে ও স্থানীয় এলাকাবাসীর বিবরণে জানা গেছে উপজেলার জয়কা ইউনিয়নের উত্তর শিমুল গড়া গ্রামের মো.রেনু মিয়া ওরফে লুবানের সাথে একই গ্রামের শামিম গংদের সাথে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিলো। ঘটনার দিন সকালে মো.রেনু মিয়া ওরফে লুবানের ছেলে শ্রমিক মুকুল মিয়া নিজ বাড়ি থেকে খিদিরপুর তুফানিয়া মোড়ের সিদ্দিক মিয়ার চায়ের স্টলে যেতেই পুর্ব পরিকল্পিতভাবে পরস্পর যোগসাজসে বেআইনী জনতাবদ্ধে দেশিয় ধারালো অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মুক্তার হোসেনের নির্দেশে শামীম ধারালো রামদা দিয়ে প্রাণে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে মুকুল মিয়ার মাথার পেছনের তালুর নীচে কোপ দিয়ে হাড়কাটা রক্তাক্ত জখম করলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এ সময় আল আমিন তার ডান হাতের কনুইয়ের নীচে হাড়ভাঙ্গা জখম করে। তাহা, সজিব,স্বপন,তোষন তাঁর শরীরের বিভিন্নস্থানে প্রহার করে গুরুতর আহত করে। স্থানীয় এলাকাবাসী সন্ত্রাসীদের কবল থেকে মুকুল মিয়াকে উদ্ধার করে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। তাঁর মাথায় ৭টি সেলাই করা হয়েছে। বর্তমানে হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে আহত মুকুল মিয়ার পিতা মো.রেনু মিয়া ওরফে লুবান বাদী হয়ে করিমগঞ্জ থানায় ৬জনের নামোল্লেখ করে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। করিমগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো: মিজানুর রহমানের সাথে আজ যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনার তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।